• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশের দর্শক আমাকে নিরাশ করবে না: মিমি


রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১, ০৫:৩৫ পিএম
বাংলাদেশের দর্শক আমাকে নিরাশ করবে না: মিমি

—আপনি কি ব্যস্ত?

মিমি চক্রবর্তীকে যখন প্রশ্নটি করা হলো তখন ফোনের ওপার থেকে তিনি জানালেন, খানিকটা সময় অবসর আছে। একটু পর ফের ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। যা প্রশ্ন আছে সব দ্রুত করে ফেলতে হবে।

সবুজ সংকেত পেয়ে মিমির কাছে প্রশ্ন ছিল, পঞ্চমীতে ‘বাজি’ মুক্তি পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। দশমীতে মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশে। উচ্ছ্বসিত নাকি চিন্তিত?

মিমির উত্তর, “দুটোই। দুর্গাপূজার মতো একটি উৎসবে পশ্চিমবঙ্গে কাছাকাছি সময়ে বাংলাদেশে ‘বাজি’ মুক্তি পাচ্ছে এটা ভালো লাগার বিষয়। কিন্তু জানেন তো, সিনেমা মুক্তি পেলে আমার টেনশন বেড়ে যায়। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও পূজায় সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। তবে টেনশন কমেনি। বরং বেড়েছে। কোভিডকাল চলছে, এর ভেতর বাংলাদেশে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। জানি না কী হবে! তবে আমার মনে হয় দর্শক জিৎ-মিমি জুটিকে নিরাশ করবে না। আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা ছবিটি দেখুন। কেমন লাগল জানান।”

Image

আপনার অনুরোধ কেন রাখবেন এপার বাংলার দর্শক—জানতে চাইলে মিমি বলেন, “বাংলা ছবি তো বাংলার দর্শকই বাঁচাবে, তাই না? মানুষ হলে যাবে, সিটি মারবে তাহলেই তো বাংলা ছবি বলিউডকে টেক্কা দিতে পারবে। প্রথমবার আমি আর জিৎ একসঙ্গে অভিনয় করেছি। তা ছাড়া এটি একটি ধামাকা ছবি। অ্যাকশন আছে, সুন্দর গান আছে—কমপ্লিট প্যাকেজ।”

সাফটা চুক্তির আওতায় ‘বাজি’ ছবির বিনিময়ে ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে ‘রাত্রির যাত্রী’ সিনেমাটি। পশ্চিমবঙ্গে সিনেমাটি মুক্তি পেলে সেখানকার দর্শকদের সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানান মিমি।

May be an image of 1 person, standing and outdoors

মিমির বড় পর্দার অভিষেক ‘বাপি বাড়ি যা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। এরপর বিভিন্ন ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে হাজির হয়েছেন। মিমি মনে করেন, ভালো অভিনয় করতে হলে নিজেকে ভেঙে ফেলতে হয়।

মিমির কথায়, “আমি একজন অভিনেত্রী। সুতরাং যেকোনো চরিত্রে আমাকে মানিয়ে যেতে হবে। এটাই থাকে আমার প্রথম লক্ষ্য। আমি যদি চরিত্রটাই ফুটিয়ে তুলতে না পারি, তাহলে দর্শক তো গালি দেবে। আমাকে যে পাত্রে ঢালা হবে আমি সেই পাত্রের আকার ধারণ করার চেষ্টা করি। এটাই আমার ধর্ম।”

May be an image of 1 person

অভিনেত্রী হলেও মিমি জনগণের প্রতিনিধি—সাংসদ। পাশাপাশি গানও করেন। মিমির কাছে সহজ প্রশ্ন, এত কিছু সামলান কীভাবে?

মিমি বলেন, “আমি খুব কাজপাগল মানুষ। লোকেও সেটা বলে। সব কাজ ব্যালান্স করি। আমি মনে করি, সব নারীর এই ক্ষমতাটা আছে। তবে হ্যাঁ, মাঝে মাঝে খুব হাঁপিয়ে উঠি। কিন্তু থেমে যাই না। কারণ, আমার দায়িত্ব অনেক। সেই দায়িত্ব পালন করতে চাই।”

May be an image of 1 person and standing

কথায় কথায় মিমি জানালেন, বাংলাদেশের ছবি সম্পর্কে টুকটাক খোঁজখবর রাখেন। চেনেন শাকিব খানকে। জয়া আহসান তার প্রিয়। ভালো গল্প পেলে এখানকার ছবিতেও অভিনয় করতে আপত্তি নেই তার।

প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে ফোন রাখার ঠিক আগমূহূর্তে মিমির ফের অনুরোধ—আপনি সিনেমাটি দেখে জানাবেন কেমন লাগল! জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফোন কাটলাম।

Link copied!