চিত্রনায়ক ফেরদৌসের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। দেশটিতে প্রবেশের জন্য পেয়েছেন ভিসা। সুতরাং এবার তিনি চাইলেই ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন।
দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফেরদৌস বলেন, “একটা ভুল-বোঝাবুঝির কারণে আড়াই বছরের বেশি সময় ভারতে ঢুকতে পারিনি। নিষেধাজ্ঞা শেষে ভারতের ভিসা পেয়ে ভীষণ আনন্দিত। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দুই দেশে একসঙ্গে কাজ করেছি। সব সময় বলতাম, কলকাতা আমার সেকেন্ড হোম।”
২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন ফেরদৌস। তৃণমূলের হয়ে প্রচার করায় তার বিরুদ্ধে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ তোলে বিজেপি। এরপরই ফেরদৌসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে গত আড়াই বছর ভারতের মাটিতে পা রাখতে পারেননি।
ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়াটাকে নিজের ভুল বলেই স্বীকার করেন ফেরদৌস। বললেন, “অবশ্যই এটা আমার ভুল। আমি তো জানতাম না যে এমন কাজ করা যাবে না। আমাকে যারা নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়ে গেছেন, তারাও জানতেন না আমি সেখানে যেতে পারব না। এটা অবশ্যই ভুল। জীবনে একটা উচিত শিক্ষা হয়েছে।”
নিষেধাজ্ঞা থাকায় টলিউডের বেশ কিছু সিনেমার কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছে ফেরদৌসকে। এমনকি ‘বঙ্গবন্ধু’র বায়োপিকের কাজও ছাড়তে হয়েছিল তাকে। কারণ, ছবির প্রধম লটের শুটিং ভারতে হয়েছিল।