‘জামিনের এখতিয়ার আদালতের, কিছু বলার নেই’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১, ০৩:১৪ পিএম
‘জামিনের এখতিয়ার আদালতের, কিছু বলার নেই’

রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে দুপুর ২টায় জামিন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে মাদক মামলায় পরীমনির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

জামিন শুনানি শেষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু বলেন, “জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের। শুনানিতে এজাহারে যা বক্তব্য সেটা আমরা বলেছি। তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরীমনি বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এটা আমরা আদালতকে বলেছি। আসামিপক্ষও বক্তব্য রেখেছে। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেই আদালত জামিন দিয়েছেন।”

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, “আমার মনে হয়, পরীমনি একজন চিত্রনায়িকা। অনেক ছবিতে তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সিনেমগুলো যে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। তিনি সেগুলোতে অভিনয় করতে পারেন, সেজন্য তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে।”

জামিনে মামলার কোনো ক্ষতি হবে কিনা—জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ আবু বলেন, “এতে মামলার কোনো ক্ষতি হবে না। আসামি যেকোনো পর্যায়ে কিংবা অবস্থায় জামিন পেতে পারেন। এখন মামলাটি তদন্ত করে যদি পুলিশ প্রমাণ পায় তাহলে শাস্তি হবে। না পেলে খালাস পাবেন। সবকিছু নির্ভর করছে পুলিশ তদন্তের ওপর।”

এর আগে ১৯ আগস্ট পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম। গত ১০ আগস্ট পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। তার আগে ৫ আগস্ট পরীমনি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।

মাদক মামলায় গত ১৩ আগস্ট পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। কারা সূত্র জানায়, পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে (রজনীগন্ধা ভবন) রাখা হয়।

গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে র‌্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বনানী থানায় মামলা করেন।

মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়, পরীমনির বাসা থেকে ক্রিস্টাল মেথ, এলএসডি ও বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, পরীমনি চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন।

 

Link copied!