মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহেও মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমা দর্শক চাহিদায় ঊর্ধ্বে। অন্যান্য স্থানের মতো ময়মনসিংহের ছায়াবাণী সিনেমা হলও মুখর সব বয়সী মানুষের পদচারণে। জেলার সিনেমাপাগল দর্শকের সেই উচ্ছ্বাস দেখতে তাই সেখানে ছুটে গেলেন ‘হাওয়া’ টিম।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছায়াবাণী সিনেমা হলে প্রবেশ করেন তারা। টিমের সঙ্গে ছিলেন সিনেমার নায়িকা নাজিফা তুষি, অভিনেতা সুমন আনোয়ার, কণ্ঠশিল্পী এরফান মৃধা শিবলুসহ কলাকুশলীরা।
অভিনেতাদের কাছে পেয়ে মুহূর্তেই আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠেন প্রেক্ষাগৃহের দর্শকরা। হিড়িক পড়ে সেলফি তোলার। এ সময় তাদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসের হাওয়ায় ভাসেন তুষি-শিবলু-সুমনরাও। সবার সঙ্গে গলা মিলিয়ে গেয়ে ওঠেন ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি।
মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে নাজিফা তুষি বলেন, “এই সিনেমায় আমার চরিত্রটি খুবই ডায়নামিক। আমি খুবই ভাগ্যবতী কারণ এই চরিত্রটি করার সুযোগ পেয়েছি। লম্বা সময় প্রিপারেশন নিয়ে ব্যক্তি জীবনেও ওই চরিত্রটি হয়ে থাকার চেষ্টা করেছি। এখনকার অনুভূতিটা আরও মজার। আমরা ঢাকার বাইরে সিনেমা হলগুলোতে যাচ্ছি। সব জায়গায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।”
অভিনেতা ও নির্মাতা সুমন আনোয়ার বলেন, “সিনেমা মুক্তির পর থেকে আমরা যেসব হল পরিদর্শন করেছি, তার মধ্যে সিনেপ্লেক্স ছাড়া অন্যগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। সেখানে দুই ঘণ্টাব্যাপী সিনেমা উপভোগ করা দর্শকের খুবই কষ্টকর। স্পেশালি ‘হাওয়া’ সিনেমাটি লাইট, সাউন্ড সব কিছু মিলিয়ে এটার কালার, টোন, গল্প, আবহ সংগীত উপভোগ করার জন্য সিনেপ্লেক্স উপযুক্ত জায়গা। কিন্তু আমাদের দেশের সব জায়গায় সিনেপ্লেক্স নেই। তবু যদি এ রকম সিনেমা নির্মাণ হয়, তাহলে হলে দর্শক আসবেই।”
এদিকে ছায়াবাণী হলের কর্তৃপক্ষ জানালেন, ‘হাওয়া’ চালিয়ে তারা দারুণ লাভবান হচ্ছেন। গত ২৯ জুলাই মুক্তির প্রথম দিন থেকে তাদের হলে সিনেমাটি প্রদর্শিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) পর্যন্ত তাদের টিকিট বিক্রি ১০ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। ফলে সিনেমা হল ব্যবসা নিয়ে আবারও আশাবাদী হয়ে উঠেছেন তারা।
সমুদ্রে মাছ ধরার একটি ট্রলারকে ঘিরে এগিয়েছে ‘হাওয়া’র গল্প। এর সঙ্গে আছে মিথলজি ও সম্পর্কের অণুপ্রবেশ। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরীফুল ইসলাম রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান ও বাবলু বোস।