জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। সেই রহস্যের জালে হোমায়রা কথিত প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল পর্যন্ত তার নাম উরফি বলে জানা যাচ্ছিল। হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যান রাফি। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পরই তিনি হিমুর মোবাইল ফোনসহ পালিয়ে যান। বিবাহিত রাফির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হিমুর।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে জিয়াউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে হিমুর মৃত্যুর পর থেকেই সামনে আসে উরফি তথা জিয়াউদ্দিনের নাম। ইতোমধ্যে তাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। জানা গেছে ব্যক্তিগত জীবনে জিয়াউদ্দিন বিবাহিত ছিলেন। এ ছাড়া তেমন কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে তিনি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বিগো লাইভের সমর্থক ছিলেন। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন হিমুও। সেখান থেকেই তাদের পরিচয়।
হিমুর ফ্ল্যাটে নিয়মিত যাওয়া-আসা ছিল উরফির। ঘটনার দিনও সেখানে ছিলেন। সেদিন বিকেল ৩টার দিকে হিমুর বাসায় যান। সেখানে হিমুর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। সে সময় হিমুর পালিত ভাই মিহির ওয়াশরুমে ছিলেন। তিনি এসে দেখেন হিমু ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। জিয়াউদ্দিন ও মিহির তখন হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মির্জা সালাউদ্দিন বলেন, ‘অভিনেত্রী হিমু ছিলেন ব্রোকেন ফ্যামিলির। তিনি তার এক পালিত ভাইকে নিয়ে উত্তরার ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার সঙ্গে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই প্রেমিকের সঙ্গে হিমুর দ্বন্দ্ব হয়েছিল। এর পরই হিমু এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করা হুমায়রা হিমু এরমধ্যে ‘ডিবি’, ‘সোনাঘাট’, ‘চেয়ারম্যান বাড়ি’, ‘শোনে না সে শোনে না’ অন্যতম। ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় হিমুর। মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মিত হয় এ চলচ্চিত্র। এতে অসাধারণ অভিনয় করে সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা কুড়ান এই অভিনেত্রী।