• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কবে দেশে ফিরবেন জানালেন জায়েদ খান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম
কবে দেশে ফিরবেন জানালেন জায়েদ খান
চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ছবি: ফেসবুক থেকে

হত্যা চেষ্টা মামলার অভিযোগ মাথায় নিয়ে এই মূহুর্তে কানাডায় রয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। কোটা সংস্কার আন্দোলেনের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কানাডায় অবস্থান করছিলেন তিনি। জনপ্রিয় এই অভিনেতা আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখনও দেশে ফেরেননি তিনি।

দেশের বাইরে থাকলেও ৯ বছর আগে নির্বাচনি প্রচারের সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগে জায়েদ খানসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে ব্যান্ড শিল্পী আসিফ ইমাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলা নিয়ে কানাডা থেকে জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিস্মিত, আমি হতবাক। মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যেকোনো শিল্পীর রাজনৈতিক মত থাকতেই পারে। এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আমি কখনোই অতিরঞ্জিত বা বিতর্কিত কোনো কিছু করিনি। হামরার সেই সময়ে তো শত শত সাংবাদিক ছিলেন, এটা নিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। যদি থাকতাম, তাহলে তো তখনই খবরের শিরোনাম হতাম। এখন ঢালাওভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে শিল্পীদের নামে মামলা আমি সমর্থন করি না।’

জায়েদ খান আরো জানান, “দেশের একটি পরিবর্তন এসেছে। সেখানে সবাই স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাইবে। সবার নাগরিক অধিকার থাকবে। দেশ এগিয়ে যাবে। কিন্তু উদ্দেশ্য হাসিলে কারও ক্যারিয়ারে বাধা হলে, শিল্পাঙ্গন কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না।”

এই নায়ক বলেন, “আমি তো রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কাজে জড়িত নই। কোনো দুর্নীতি করিনি। একজন শিল্পী হিসেবে সবসময় মানুষকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছি। ছাত্র-জনতার গণ–আন্দোলনের প্রায় মাস খানেক আগে থেকেই আমি অস্ট্রেলিয়ায়, কানাডা ও সর্বশেষ আমেরিকার শো নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। শো করে মানুষকে বিনোদিত করেছি। একজন বিনোদন কর্মী হিসেবে এটাই তো আমাদের কাজ। আমি সেটাই করেছি।”

কানাডা থেকে দেশে ফেরা নিয়ে এই নায়ক বলেন, “কানাডা এখনো আমার বেশ কিছু শো বাকি রয়েছে। সেসব শেষ করেই ফিরব।”

দুই মেয়াদে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন নায়ক জায়েদ খান। ২০২২ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তাঁর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নিপুণ আক্তার। সেই নির্বাচনে জায়েদ ভোটে জিতলেও ফলাফল নিপুণ মেনে না নিলে কোর্টে মামলা করেন। হেরে যান জায়েদ। চলে মামলা–মোকদ্দমা। তখনই আলোচনায় আসেন জায়েদ। পরবর্তী সময় কখনো বিয়ে, কখনো নারী নিয়ে মন্তব্য করে, কখনো ডিগবাজি দিয়ে ভাইরাল হতে থাকেন তিনি। ট্রলেরও শিকার হয়েছেন এই সমালোচিত নায়ক।

 

Link copied!