হত্যা চেষ্টা মামলার অভিযোগ মাথায় নিয়ে এই মূহুর্তে কানাডায় রয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। কোটা সংস্কার আন্দোলেনের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কানাডায় অবস্থান করছিলেন ভাইরাল এ নায়ক। জায়েদ খান আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখনও দেশে ফেরেননি তিনি।
দেশের বাইরে থাকলেও ৯ বছর আগে নির্বাচনি প্রচারের সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগে জায়েদ খানসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে ব্যান্ড শিল্পী আসিফ ইমাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামীপন্থী অনেক তারকাই গায়েব রয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্যতম চিত্রনায়ক জায়েদ খান। কয়েক মাস হলো দেশের বাইরে তিনি। ফেরার নাম নেই।
গুঞ্জন উঠেছে ফিরবেন না এ নায়ক। তবে সম্প্রতি গণমাধ্যমকে এ অভিনেতা জানালেন, তিনি শিগগিরই দেশে ফিরবেন। এই মুহূর্তে বিদেশের আবহাওয়া উপভোগ করছেন তিনি।
এদিকে কাঁধে মামলা ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে আসতে চান না জায়েদ খান, এমনটাই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে দেশে ফেরা নিয়ে নানা গুঞ্জনের বিষয়টি তুলতেই এক সংবাদমাধ্যমকে জায়েদ খান বলেন, ‘মানুষ তো কত কথাই বলে। বলুক।’
দেশের বাইরে কেমন কাটছে জানতে চাইলে জায়েদ বলেন, ‘ভালো আছি। ওয়েদারটা এনজয় করছি। শো আছে।’ তবে শিগগিরই দেশে ফিরবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন জায়েদ খান। জানান, তাড়াতাড়িই ফিরবেন তিনি।
দেশের বাইরে এই মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন জায়েদ খান। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীদের সঙ্গে ছবি প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন শোয়ে পারফর্মের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি। যা দেখে বোঝা যাচ্ছে, বিদেশের মাটিতে সময়টা বেশ ভাল কাটছে অভিনেতার।
দুই মেয়াদে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন নায়ক জায়েদ খান। ২০২২ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তাঁর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নিপুণ আক্তার। সেই নির্বাচনে জায়েদ ভোটে জিতলেও ফলাফল নিপুণ মেনে না নিলে কোর্টে মামলা করেন। হেরে যান জায়েদ। চলে মামলা–মোকদ্দমা। তখনই আলোচনায় আসেন জায়েদ। পরবর্তী সময় কখনো বিয়ে, কখনো নারী নিয়ে মন্তব্য করে, কখনো ডিগবাজি দিয়ে ভাইরাল হতে থাকেন তিনি। ট্রলেরও শিকার হয়েছেন এই সমালোচিত নায়ক।