‘শারীরিক অসুস্থতা’ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেই গুঞ্জন রটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা। এমন খবর যখন গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়ে প্রকাশ হয়েছে, ঠিক সেসময় হাসপাতল থেকে বাসায় ফিরেই সংবাদকর্মীদের চাকরিচ্যুত এবং উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিশা। তবে, এমন আচরণকে ইমম্যাচিউরড বলেছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দেশের গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেন এই অভিনেতা।
জায়েদ খান বলেন, “নায়ক-নায়িকাদের বিপদে সবসময় পাশে ছিলেন বিনোদন সাংবাদিকরাই। মেয়েটি (তানজিন তিশা) ইমম্যাচিউরড আরকি। এ জন্যই হয়তো সাংবাদিকদের সঙ্গে ঝামেলা করতে গেছে। সাংবাদিকরা যদি কোনো তারকার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন, তখন দাঁড়ানো খুব টাফ। খুবই কঠিন। এক কথায় সাংবাদিকদের সঙ্গে ঝামেলা করে শিল্পীদের টিকে থাকা খুব টাফ।”
এই অভিনেতা আরও বলেন, “আমার সঙ্গে অনেক সাংবাদিকের ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু আমি এত বড় করিনি। সিনিয়র সাংবাদিকদের মাধ্যমে মিটমাট করেছি। আইন, পুলিশ ব্যবহার করা শিল্পীদের উচিত না। এতে শিল্পীদের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যায়। একবার সাংবাদিকরা খেপে গেলে ওই তারকার ওঠে দাঁড়ানো টাফ।”
তানজিন তিশাকে খুব একটা চেনে না জানিয়ে জায়েদ বলেন, “মেয়েটিকে (তানজিন তিশা) দেখেছি, তেমন আমি চিনি না। আমি মনে করি বাচ্চা মেয়ে, ইমম্যাচিউরড। তাকে কারা বুদ্ধি দেয় আমি জানি না। এরা আসলে বোকা।”
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বুধবার ( ১৫ নভেম্বর) রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন তিশা। পরদিন বিকালে সুস্থ হয়ে বাসায়ও ফেরেন। মাঝের সময়টুকুতে সামাজিক মাধ্যমে গুঞ্জন রটে ‘প্রেম বিষয়ক ঘটনায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন’ তিনি। এমন সংবাদের ভিত্তিতে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন থেকে তিশার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকর্মীদের চাকরিচ্যুত এবং উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এর একদিন পরেই শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি ব্যক্তি জীবনের নানা ভিত্তিহীন খবর ছড়িয়ে পড়ে তার। এতে ‘পাজলড’ হয়ে তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। পরে ক্ষমা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দেন তিশা। যদিও কিছুসময় পরে ক্ষমা চাওয়ার সেই পোস্ট মুছে ফেলে আবারও বিতর্ক শুরু করেন এই অভিনেত্রী।
এদিকে তিশার এমন কর্মকাণ্ডে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার সামনে জড়ো হন টেলিভিশন, পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল ও রেডিওতে নিয়োজিত বিনোদন বিভাগের সংবাদকর্মীরা। ওই সমাবেশে তিশাকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয় ক্ষমা চাওয়ার জন্য। গণমাধ্যমকর্মীরা অপেশাদার ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তানজিন তিশাকে সব ধরনের নির্মাণকাজ থেকে বিরত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ডিরেক্টরস গিল্ডের প্রতি।