জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটাই অবনতি ঘটেছে। বিভিন্ন জায়গায় শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে শিল্পীদের। আবার কোথাও বন্ধ হয়ে গেছে কনসার্ট কিংবা নাট্যোৎসব। এসব বিষয় নিয়ে এবার কথা বললেন জনপ্রিয় এই নায়িকা।
শনিবার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) আয়োজনে ১১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অতিথি হয়ে নায়িকা বলেন, ‘এটা আসলে খুবই কষ্টকর একটা ব্যাপার। আমার কাছে মনে হয় যে এ রকমটা হওয়া ঠিক না। কারণ আমাদের দেশের সংস্কৃতি আমাদেরই বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই পুরো জিনিসটাকে যারা দেখছেন তারা যদি একটু ঠিকঠাকভাবে মেইনটেইন করেন, আমার মনে হয় খুব শিগগিরই এটাও কমে আসবে। কারণ এই জিনিসটা বন্ধ হয়ে গেলে আর্টিস্টরা কী করে খাবে।’
যোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমা বাদেও আমাদের অনেক কাজ আছে। আমরা চাই দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে; এমন জায়গায় যেতে, যেখানে দর্শক-ফ্যানরা আমাদের কাছে আসতে পারে। সেখানে যদি আমাদের বাধা দেওয়া হয়, আর্টিস্টদের বেঁচে থাকাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে।’
জনপ্রিয় তারকারা বিভিন্ন সময় শোরুম উদ্বোধনে আমন্ত্রিত হয়ে থাকেন। আর কনসার্ট সংগীতশিল্পীদের প্রাণের খোরাক। একদিকে তা যেমন আয়ের উৎস, তেমনি শ্রোতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমও- বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফারিয়া বলেন, ‘শুধু পর্দায় কাজ করে সার্ভাইব করা আর্টিস্টদের জন্য খুবই কষ্টকর। এ ধরনের অনুষ্ঠান বা ওপেন এয়ার কনসার্ট কিন্তু আর্টিস্টদের জন্য একটা আর্নিং সোর্স। সেটা ভুলে গেলে চলবে না, সেটার কথা মাথায় রেখেই আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। অভিনেত্রীদের আমাদের সোসাইটিতে অনেক কিছু কন্ট্রিবিউট করার মতো আছে।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এবারের মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ২৮টি দেশের নির্মাতাদের সিনেমা প্রদর্শিত হচ্ছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এই চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী দিন।