খুন হয়েছে ভারতের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকী । আততায়ীদের গুলিতে তিনি মারা গেছেন। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মুম্বাইয়ের খের নগরে নিজের ছেলের অফিসের সামনে বাবা সিদ্দিকীর ওপর গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতকারী।
দশেরা উপলক্ষে সিদ্দিক যখন আতসবাজি ফাটাচ্ছিলেন, সেই সময় একটি গাড়ি থেকে রুমাল দিয়ে ঢাকা তিনজন লোক বেরিয়ে আসে। তারা একটি ৯.৯ এমএম পিস্তল দিয়ে গুলি চালায়। তিন রাউন্ড গুলি করে, যার মধ্যে একটি সিদ্দিকির বুকে আঘাত করে, এতে তিনি ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। পূর্ব বান্দ্রায় বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশানের অফিসের বাইরে গুলি চালায় তিন জন। তিনটি গুলিতে বিদ্ধ করা হয় তাকে।
বাবা সিদ্দিকিকে মারার দায় স্বীকার করে লরেন্স বিষ্ণোই জানাল `যে যে সালমানকে সাহায্য করবে, তারা তৈরি থাকো`। আর এই হুমকিতে আতঙ্কে রয়েছেন নায়ক সালমান খান।
ইতোমধ্যেই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্নাইল সিং এবং ধর্মরাজ কাশ্যপ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, তারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি করেছে। আরও জানা গিয়েছে, দু`জন তদন্তকারীদের বলেছে যে তারা গত এক মাস ধরে সিদ্দিকের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে যে এখনও পলাতক, জানা গিয়েছে সে মুম্বাইয়ের কুর্লাতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। এই তিনজন এর আগে পঞ্জাবের একটি জেলে একসঙ্গে বন্দী ছিলেন, যেখানে তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের একজন সদস্যের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এই সমিতির মাধ্যমেই তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এই কন্ট্রাক্ট কিলিং এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে গ্যাং এর প্রভাব এবং সংযোগ একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে। গতকাল বাবা সিদ্দিকিকে খুনের দায় রবিবার স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই।
দীর্ঘ বেশ কয়েকমাস ধরে এই লরেন্সের টার্গেটে রয়েছেন সালমান খান। এবার বাবা সিদ্দিকিকে খুন করে লরেন্সের টিম বার্তা দিয়েছে যে বাবা সিদ্দিকিকে মারা হয়েছে কারণ তার সঙ্গে সালমানের খানের ভালো যোগাযোগ। এমনকী দাউদের সঙ্গেও নাকি তার যোগ ছিল। সেই বার্তাতে ওই ব্যক্তির কথাও উল্লেখ আছে, যে সালমানের খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালিয়েছিল ও পরবর্তীতে জেলে সুইসাইড করেছে। সালমান খানের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, `সালমান খান, আমরা এটা চাইনি। তুমিই তোমার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী। কারোর সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। কিন্তু সালমান খান, দাউদকে যে যে সাহায্য করবে, তারা তৈরি থাকো।`