করণ জোহর বলিউড ইন্ডাস্ট্রির এমন একজন ব্যক্তি, যাকে নিয়ে কথা বলা চলতেই থাকে। আলোচনা, বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু তিনি। বহুবার বহু কারণে গণমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছেন `ধর্মা` প্রোডাকশনের কর্ণধার।
করণ একাধারে একজন নামী পরিচালক, ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির প্রযোজকদের মধ্যেও একজন। এছাড়াও বিভিন্ন রিয়েলিটি শো-এর বিচারক আর ‘কফি উইথ করণ’- সঞ্চলনা তো আছেই। সেইসাথে বলিউডে স্টার কিডসদের গডফাদারও তিনি। কাজেই এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, করণ বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী।
এবার তার জীবনের সব কাহিনিই পর্দায় ফুটে উঠবে। দর্শক, নির্মাণ হতে চলেছে `কুছ কুছ হোতা হ্যায়` পরিচালক করণ জোহরের বায়োপিক। এ নিয়ে আলোচনা বইছে। সেই বায়োপিকে করণের চরিত্রে কে অভিনয় করবেন— এ নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই বলিউডে।
সিনেপরিবারেই জন্ম করণের। ছেলেবেলা থেকেই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশানের ভেতরে থেকেছেন তিনি। প্রথমে অভিনেতা হিসেবে রূপালী পর্দায় পা দিলেও পরে পরিচালক-প্রযোজক হিসেবে নাম করেন তিনি।
করণের বায়োপিক নিজেই পরিচালনা করবেন বলে জানান তিনি। লাইভে পরিচালককে জিজ্ঞেস করা হয়, তার বায়োপিকের মুখ্য ভূমিকায় তিনি কাকে দেখতে চান। জবাবে করণ বলেন, রণবীর সিংয়ের নাম।
কিন্তু বলিউডে এত অভিনেতা থাকতে করণ নিজের চরিত্রে রণবীর সিংকেই কেন কাস্ট করতে চান? জবাবে তিনি বলেন, রণবীর গিরগিটির মতো রং বদলায়। যেকোনো ধরনের চরিত্র পর্দায় জীবন্ত করে তোলা ওর কাছে কোনো ব্যাপারই নয়। তাই তার চরিত্রেও রণবীরকেই ভালো মানাবে।
করণ আরও জানান, নিজের বায়োপিকে জীবনের প্রতিটি অধ্যায় খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলবেন তিনি। বিশেষত, মা-বাবার সঙ্গে তার ছেলেবেলাটা খুব সুন্দর কেটেছিল।
পাশাপাশি এ-ও জানান, ব্যতিক্রমী শিশু হওয়ার জন্য তাকে ছোট থেকে অনেক মাশুল দিতে হয়েছে। স্কুলে তাকে মেয়েলি আচারণের জন্য ঠাট্টার পাত্র হতে হতো। ইন্ডাস্ট্রিতেও তাকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। তবে নিজের সাহস আর দক্ষতায় জীবনের বহু বাধা অতিক্রম করেছেন করণ।
পরিচালক হিসেবে করণের ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৯৮ সালে `কুছ কুছ হোতা হ্যায়` ছবির মাধ্যমে। যদিও এরপর প্রযোজনা নিয়েই তার জীবনের অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। ২০১৬ সালে `অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল`-এর পর দীর্ঘ ছয় বছরের ব্যবধান শেষে আগামী বছর `রকি অর রানি কি প্রেম কাহানি`র মাধ্যমে ফের পরিচালক হিসেবে কামব্যাক করছেন করণ। সেই ছবিতেও মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর সিংই।