নব্বই দশকে বড় পর্দায় ঝড় তুলেছেন তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর, শাবনাজ, মৌসুমী, পপি ও পূর্ণিমা। অভিনয়ে এসেই তারা রীতিমতো বড় পর্দায় ঝড় তুলেছেন, পেয়েছেন দর্শক প্রিয়তা। ২০০০ সালের প্রথমদিক পর্যন্ত অভিনয়ে সরব ছিলেন তারা। এখন সিনেমায় নেই দর্শকনন্দিত এ নায়িকারা। তাহলে পর্দায় ঝড় তোলা নায়িকারা কে কোথায় আছেন, কি করছেন-
শাবনূর
নব্বই দশকের অন্যতম জনপ্রিয় ও ব্যস্ত নায়িকার নাম বললে প্রথমেই যার কথা আসে তিনি শাবনূর। এ নায়িকা দীর্ঘ সময় ঢাকাই চলচ্চিত্রে রাজত্ব করেছেন। ১৯৯৩ সালে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ দিয়ে চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু শাবনূরের। ২০১৩ সালে একটি পুত্র সন্তানের জন্মদানের পর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক শাবনূর সেখানেই থিতু হন এবং দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র থেকে দূরে থাকেন। চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ‘রঙ্গনা’ নামের একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরদিনই আবার অস্ট্রেলিয়া উড়াল দেন শাবনূর। তিনিও সন্তান নিয়ে ব্যস্ত।
শাবনাজ
১৯৯১ সালে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা এহতেশাম চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন শাবনাজ নামের একটি মেয়েকে। এ মেয়েটিকে নায়িকা করে তিনি নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র ‘চাঁদনী’। এটি ছিল ওই বছর এবং ওই দশকের সেরা হিট ছবি। এরপর তিনি অনেক সিনেমায় নায়িকা হিসেবে কাজ করেছেন এবং তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। ২০০৪ সালে তার সহশিল্পী চিত্রনায়ক নাঈমকে বিয়ে করে তিনি সংসারী হন এবং অভিনয় ছাড়েন। বর্তমানে সংসার ও সন্তান নিয়ে ব্যস্ত শাবনাজ।
মৌসুমী
নব্বই দশকে মুক্তি পাওয়া আলোচিত সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। এ সিনেমার মধ্য দিয়ে অভিনয়ে আগমন মৌসুমীর। ১৯৯৩ সালে এ সিনেমা করার পর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন সফলতা। মাঝে অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও মৌসুমী বর্তমানে একটি সিনেমার কাজে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছেন। এছাড়া দেশে তার কয়েকটি ছবি মুক্তির তালিকায় আছে। তবে তিনি আগের মতো সিনেমায় নেই।
পূর্ণিমা
জনপ্রিয়তার দিক থেকে পূর্ণিমাও অনেক এগিয়ে। দীর্ঘ সময় ধরে ঢাকাই সিনেমায় জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে অভিনয় করছেন। মাঝে সংসারে মন দেওয়ায় অভিনয় থেকে দূরে সরেন তিনি। ১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ দিয়ে পূর্ণিমার অভিষেক ঘটে সিনেমায়। গত কয়েক বছর ধরে আবারও চলচ্চিত্রের অভিনয়ে রয়েছেন তিনি। সর্বশেষ কাজ করেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’ ছবিতে। এ ছবিটি আগামী ঈদে মুক্তি পাবে। স্বামী ও সংসার নিয়েই তাকে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
পপি
১৯৯৭ সালে সোহানুর রহমান সোহানের ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ ছবি দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক ঘটে পপির। অবশ্য তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’। টানা দুই দশকেরও বেশি সময় জনপ্রিয়তার পথ ধরে নায়িকা হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৫ সালের পর হঠাৎ করেই অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন এবং গত প্রায় ৩ বছর ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়েছেন পপি। প্রকাশ্যে তাকে আর দেখাই যাচ্ছে না। গুঞ্জন রয়েছে গোপনে বিয়ে করে সংসারি এবং সন্তানের জননীও হয়েছেন। পপির হঠাৎ অন্তর্ধানের কারণ বেশকজন নির্মাতার ছবি অসমাপ্ত হয়ে পড়ে আছে। জানা গেছে তিনিও স্বামী ও সংসার নিয়ে ব্যস্ত পপি।