হলিউডের পর বলিউডেও মি-টু আন্দোলনের মাধ্যমে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন অভিনেত্রীরা। যৌন হেনস্তা বা হয়রানির ঘটনার অভিযোগ তুলে ধরা হতো এই হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে। এবার তেমনই এক ঘটনার কথা তুলে ধরলেন বলিউড নায়িকা মল্লিকা শেরাওয়াত।
একসময় ইমরান হাশমির সঙ্গে তার রসায়ন আলোড়ন ফেলেছিল। বহুদিন পরে ‘ভিকি বিদ্যা কা উয়ো ওয়ালা ভিডিও’ ছবিতে ফের অভিনয় করেছেন এ নায়িকা। সেই সূত্র ধরেই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তার এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অভিনেত্রী।
এক সহ-অভিনেতা তাকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন বলে অভিযোগ মল্লিকার। অতীত খুঁড়ে বের করলেন সেই ভয়াবহ স্মৃতির কথা। দুবাইয়ে একটি বড় মাপের ছবির শুটিং করতে গিয়ে তার এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল বলে জানান অভিনেত্রী। ছবিতে ছিলেন প্রথম সারির একাধিক তারকা।
মল্লিকার ভাষ্য এমন—‘দুবাইয়ে একটি বড় মাপের ছবির শুটিং করছিলাম। একাধিক বড় তারকা ছিলেন ছবিতে। এই ছবি বক্স অফিসে বিপুল সাড়া ফেলেছিল। দর্শকের ছবিটি পছন্দ হয়েছিল। আমিও একটি মজার চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম।’
এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। তবে রাতগুলো মল্লিকার জন্য আতঙ্কের। তিনি বলেন, ‘দুবাইয়ের হোটেলে রোজ রাত ১২টায় আমার ঘরে এসে কড়া নাড়তেন ছবির নায়ক। কড়া নাড়ার এমন জোর ছিল, আমি ভাবতাম, দরজাটা বোধ হয় ভেঙেই গেল। ওই নায়ক আমার রুমে আসতে চাইতেন। আমি জানতাম, এটা আমি কখনোই হতে দেব না। এরপরে ওই নায়ক আর আমার সঙ্গে কোনো কাজ করেননি।’
মল্লিকার বর্ণনা মিলিয়ে নেটিজেনদের অনুমান, তিনি ২০০৭-এর ছবি ‘ওয়েলকাম’ এর কথা বলেছেন। দুবাইতেই এই ছবির শুটিং হয়েছিল। একাধিক বড় তারকা ছিলেন। মুখ্য অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অক্ষয় কুমার। তাই প্রশ্ন, অভিনেত্রী কি নাম উল্লেখ না করে অক্ষয়ের দিকেই আঙুল তুললেন! নাকি নানা পাটেকার। এই অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন এমরান হাশমির আরেক নায়িকা তনুশ্রী দত্ত। অন্যদিকে ওয়েলকাম ছবিতে আরও ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ, অনিল কাপুর, পরেশ রাওয়াল।