• ঢাকা
  • বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩০, ১২ রমজান ১৪৪৬

কবর থেকে সহকারীর মরদেহ তোলা নিয়ে যা বললেন তানজিন তিশা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ০৩:৩৭ পিএম
কবর থেকে সহকারীর মরদেহ তোলা নিয়ে যা বললেন তানজিন তিশা
ছবি : সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যক্তিগত সহকারী আল আমিনের মরদেহ সাত মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা-পুলিশের তত্ত্বাবধানে শ্রীনগরের বালাসুর কাশেমনগর কবরস্থান থেকে সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে মরদেহটি তোলা হয়।    

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিতে নিহত হন আল আমিন। উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়াই গত ২০ জুলাই শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগর কবরস্থানে তার গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।

তবে দাফনের সাত মাস পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে দেখছেন না তানজিন তিশা। পুরো ঘটনায় শহীদ আল আমিনের জন্য কষ্ট পাচ্ছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিশা লিখেছেন, “‌আল-আমিন শুধুমাত্র সহকারী নয়, সে আমার ভাই যে আমার সাথে পাঁচটি বছর ছিল। যে ছিল নিষ্পাপ একটি ছেলে এবং সে জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়। সাত মাস পর আল আমিনের মরদেহ কবর থেকে ওঠানোর মতো নির্মম বিষয়টি আমি মোটেও সমর্থন করছি না।”

অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, “এই কর্মের মাধ্যমে কী লাভ হবে? শুধুমাত্র ওর আত্মাটা কষ্ট পাচ্ছে। পুরো বিষয়টা আমি জানার পর বিষয়টি আমার কাছে মেনে নেওয়া অনেক কষ্টদায়ক। এর পেছনে যে বা যারা জড়িত, তারা কোন উদ্দেশ্যে এই কাজটি করেছে, আমি চিন্তা করে খুবই হতবাক। ভাইয়া তুই ভালো থাকিস।

জানা গেছে, অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন আল আমিন। ঢাকায় বসবাস করতেন তিনি। জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের ঘটনায় গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে নিহতের বড় ভাই বাদল খলিফা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন। যে কারণে সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য বাবার সম্মতিতে কবর থেকে তোলা হয় শহিদ আল আমিনের মরদেহ।

Link copied!