নন্দিত অভিনেত্রী সোহানা সাবা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে ছিলেন। এবার ঐতিহাসিক ‘৭ মার্চ’সহ আট জাতীয় দিবস বাতিলের প্রতিবাদে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। বুধবার (১৬ অক্টোবর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে তথ্যগুলো। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর সাধারণ জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী বুধবার (১৬ অক্টোবর) তার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু ১৯৭১’। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর পোস্টে সমর্থন জানাচ্ছেন বহু অনুরাগী।
এদিকে, জাতীয় শোক দিবসসহ আট জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমে শোনার সঙ্গে সঙ্গেই তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, সোহানা সাবা, কাজী নওশাবা আহমেদ, নূনা আফরোজ, মেহের আফরোজ শাওনসহ অনেকেই।
প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে জানানো হয়, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস ও ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস বাতিল হচ্ছে।
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে উপদেষ্টা পরিষদ এসব জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।