‘এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। যার (ডিপজল) প্রতিপক্ষ হিসেবে নির্বাচন করেছি, চিন্তাও করিনি আমি মাত্র ১৬ ভোটে ওনার কাছে হারব। আমার চিন্তার বাইরে ছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম হয় ২০-২৫টি ভোট পাব। তবে শিল্পীরা যে আমাকে ভালোবাসে সেটা আবারও প্রমাণ পেয়েছি।’
এরপরই নির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের গলায় মালা পরিয়ে দেন নিপুণ। নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সেই মালা খুলে নিপুণের গলায় পরিয়ে দেন।
সবশেষে নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘আজকের এই নির্বাচন নামেমাত্র একটি নির্বাচন। সত্যিকার অর্থে আমরা এক পরিবার। তবে নির্বাচনের ফলাফল শেষে নিপুণ আজ যেটা করল, তা নজির হয়ে থাকবে। এমনটাই হওয়া উচিত।’
গত ১৫ দিন ধরে চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। নির্বাচনের আগের দিনও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজলের বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছিলেন নিপুণের প্যানেলের এক সদস্য। অনেকেই ভেবেছিল গত নির্বাচনের মতোই হয়ত নিপুণ এবারও আদালত পর্যন্ত দৌড়বে। কিন্তু সেটা আর হল না। সেই সব অভিযোগের পালা শেষ। শুক্রবার হয়ে গেলো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণের পর ভোট গণনা শনিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। নির্বাচনে ২১ টি পদের মধ্যে ১৮টি পদে জয় পায় মিশা-ডিপজল প্যানেল।
ভোটের ফলাফল ঘোষণার সময় দুই প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই ঘটে গেলো নতুন ঘটনা। নির্বাচনে হেরে বিজয়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দিলেন নিপুণ।
২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ঠাঁই পেতে এবারের নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। সদস্য হিসেবে আছিলেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।