হৃদ্যন্ত্রের জটিলতা নিয়ে ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশে ২৩ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, সুরকার ও গীতিকার হায়দার হোসেন।
তিন দিন চিকিৎসা নিয়ে বুধবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরেছেন এই গায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি এখন মেয়ের বাসায় আছি। আমি সুস্থ আছি। সবার কাছে দোয়া চাই।’
হায়দার হোসেন জানান, তার হৃদ্যন্ত্রে একটি রিং (করোনারি স্টেন্ট) পরানো হয়েছে। কয়েক বছর ধরেই তিনি হৃদ্যন্ত্রের জটিলতায় ভুগছেন। এর আগে আরও চারটি রিং পরানো হয়েছে।
৬০ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পী হৃদ্রোগ ছাড়াও ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
ভিন্ন ধারার গান করে অনেক আগেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সঙ্গীতপরিচালক হায়দার হোসেন। তার গানে আলোচনা-সমালোচনা দুটিই থাকে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে একজন প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৭৯ সাল থেকে হায়দার হোসেন সংগীত পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিখ্যাত সুরকার আলম খানের সঙ্গে প্লেব্যাক গিটার বাজাতেন তিনি এবং এরপর পপ সম্রাট আজম খানের সঙ্গে কাজ করতেন। এক সময় হায়দার হোসেন নিজেই বেশ খ্যাতি পান।
এ শিল্পীর গাওয়া ‘আমি ফাইসা’ ‘তিরিশ বছর পরও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি’ ও ‘চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়াও করিতে পারিনি চিৎকার’ গান দুটি এখনও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে।
গানের শিল্পী ছাড়াও একাধারে তিনি গীতিকার, সুরকার, গিটারবাদক ও কি-বোর্ডবাদক।