• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৬

নারকেল, মাছের লেজ ভর্তা, আমের ডালসহ বৈশাখে যা যা করলেন জয়া


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
নারকেল, মাছের লেজ ভর্তা, আমের ডালসহ বৈশাখে যা যা করলেন জয়া
‘জিম্মি’র দৃশ্যে জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। প্রতিবারের মতো এবারো পয়লা বৈশাখে মেতেছেন। নববর্ষ উদযাপন নিয়ে  হিন্দুস্তান টাইমসে-র সঙ্গে ফোনে খোলামেলা আড্ডা দিয়েছেন অভিনেত্রী। ফোনালাপে এই অভিনেত্রী বলেছেন, গত দু‍‍`দিন ধরেই বাড়িতে চলছে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, আর এগুলো সবই হচ্ছে বৈশাখী উদযাপন উপলক্ষ্যে। 

গতকাল এবং আজ, দুদিনই (রোব ও সোম) নানান কর্মসূচি ছিল ও আছে। ১৩ এপ্রিল, রোববার গিয়েছিলাম চৈত্র সংক্রান্তির একটা অনুষ্ঠানে। যেটা হইচই-তে আমার যে ‘জিম্মি’ ওয়েব সিরিজটা রিলিশ করেছে ওই টিমের তরফে আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যে ৭টায় ছিল সেই অনুষ্ঠান।

এরপর রাত ১২টা থেকে গুলশানের সাহাবুদ্দিন পার্কে ছিল আল্পনা আঁকার অনুষ্ঠান। সেখানে ছিলাম। ওখানে জলের গান, বিভিন্ন বাংলা ব্যান্ড মিউজিক, বাউল গান সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে, সেখানে আমি ছিলাম।

কারণ, আমি মনে করি, এধরনের অনুষ্ঠান আরও বেশি করে হওয়া উচিত। কারণ, এটা কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়। বাংলা সংস্কৃতিকে এভাবেই আরও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। তাই আমি ওখানে ছিলাম।

বাংলাদেশের মেলায় যাওয়া নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, এবার কোনও শহরকেন্দ্রীক মেলায় আমি যাচ্ছি না। আমি যাচ্ছি গ্রামের বৈশাখী মেলাগুলোতে। কারণ আমি মনে করি, এধরনের অনুষ্ঠান প্রত্যন্ত গ্রামেগঞ্জে আরও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। তাই এবার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে যে মেলাগুলো থেকে আমার কাছে আমন্ত্রণ এসেছে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকলেই আমি পৌঁছেছিলাম নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মেলায়। সেখানে ইলিশ-পান্তা উৎসবে আমি যোগ দিয়েছিলাম। বৈশাখের খাওয়া নিয়ে জয়া বলেন, খাওয়াদাওয়াও চলছে কয়েকদিন ধরেই। নববর্ষ উদযাপন তো প্রায় ৪-৫দিন ধরে চলছে। গতকাল যেমন আমি নিজেই রান্না করেছিলাম। মেনুতে ছিল ইলিশ মাছের লেজ ভর্তা, লাল চালের পান্তা, ইলিশ মাছ, নারকেল ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা, আম ডাল। আর হাতে তৈরি রসোগোল্লা।

নববর্ষেও পান্তা ভাত তো হবেই। আর সেটা শুকনো লঙ্কা আর পেঁয়াজ দিয়ে জমিয়ে মাখা হয়। ওটাই স্পেশালিটি । আবার দই পান্তাও হয়। বিশেষদিনগুলোতে আমিই রান্নাবান্না করি।

নববর্ষের শোভাযাত্রায়  নিয়ে এই নায়িকা জানান,  রমনা বটমূলে নববর্ষ শোভাযাত্রার আয়োজন করে ছায়ানট সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বহু মানুষ সেখানে যোগ দেন। এবার অবশ্য আমি সেখানে থাকতে পারি নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরাও শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। প্রত্যেকবছর নববর্ষের আগেরদিন রাতে সেখানে পৌঁছে যেতাম, এবার সেখানেও যাওয়া হয়নি।

এবার আমি যেহেতু ঠিক করেছি, গ্রামেগঞ্জের মেলাগুলোতেই আমি যাব, তাই সেগুলোতেই যাচ্ছি। কারণ, এই উৎসব শহরকেন্দ্রীক না হয়ে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত বলে যেহেতু আমি মনে করি, তাই এমন সিদ্ধান্ত।

Link copied!