একসময়ের ব্যস্ততম নায়িকা ছিলেন সাবরিনা সুলতানা কেয়া। মান্না, আমিন খান, রিয়াজ, শাকিব খানসহ জনপ্রিয় প্রায় সব নায়কের বিপরীতে দেখা গেছে তাকে। এ প্রজন্মের নায়ক আমান রেজা, সাইমন সাদিক, শিপন মিত্রের সঙ্গে জুটি বেঁধেও কাজ করেছেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজ কিছুটা কমিয়েছেন তিনি।
এখন মনের মতো কাজই কেবল করছেন। দীর্ঘ দুই যুগ তার অভিনয়ের ক্যারিয়ার। কাজ করেছেন অসংখ্য সিনেমায়। বর্তমানে তার বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায়।
সম্প্রতি কেয়ার নামে বেশ কিছু ফেসবুক পেজ, ইউটিউব ও অনলাইন পোর্টালে ভিত্তিহীন খবর প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন তিনি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থাও নিচ্ছেন এ নায়িকা। এ প্রসঙ্গে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অঙ্গনে আমার দীর্ঘ ২৪ বছরের অভিনয়জীবন। এই সুদীর্ঘ পথচলায় আমি কখনো কাউকে অশ্রদ্ধা করিনি, অহংকার করিনি, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করিনি।
সবাইকে যথোপযুক্ত সম্মান দিয়ে পথ চলেছি এবং অভিনয় ও পরিবার নিয়েই জীবনের ব্যস্ত সময় পার করেছি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা গুজব ও রটনার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় নানা ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্নসহ আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। আমার অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী আমার এই খারাপ সময়ে পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন, যার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
আত্মবিশ্বাসের সুরে কেয়া আরও লেখেন, ‘আমি ভেঙে পড়িনি, সিদ্ধান্ত নেই প্রতিবাদ করার। যার ফলশ্রুতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মিডিয়ায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষ বরাবর আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করি।
কিছু কিছু মিডিয়াও এই সব অপপ্রচার বুঝতে পেরে তাদের অনলাইন পোর্টাল ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর অপসংবাদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং সত্য সাংবাদিকতাকে সাধুবাদ জানাই।’
কেয়া এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যেটা আমি করিনি সেটা আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। পত্রিকা কিংবা চ্যানেলের কাটতির জন্য তো আমার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানো অপরাধ। তাই আমি আইনি প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছি। মিথ্যার বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে মামলাও করবও। কারণ মিথ্যা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না আমার ওপর।’
