রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেলের মরদেহ আনা হয়। রুবেলকে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ছুটে আসেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।
এ সময় ফেরদৌস রুবেলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “এমন একটা সময়, এমন একটা মুহুর্ত যে কথা বলার পরিস্থিতি নেই। অসাধারণ একজন অভিনেতা, অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন রুবেল ভাই। অসময়ে চলে গেলেন তিনি। আমাদের সবাইকে চলে যেতে হবে, কিন্তু অসময়ে চলে যাওয়াটাকে মেনে নেওয়া যায় না “
ফেরদৌস আরও বলেন, “আমার যাওয়ার কথা ছিল তার ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমা দেখতে। সংসদ অধিবেশনের জন্য যেতে পারিনি। এরই মধ্যেই শুনলাম একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল তার সঙ্গে একটি সিনেমায় অভিনয় করার। হুমায়ূন আহমেদের ‘চন্দ্রকথা’। তখন বেশ কিছুদিন তার সঙ্গে কাটিয়েছিলাম। তার সরলতা, তার অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতা আমাকে মুগ্ধ করেছে।”
ফেরদৌস বলেন, “তার বেশ কিছু ভালো ভালো কাজ রয়ে গেছে। বিশেষ করে ‘জাতির জনক’ সিনেমায় তিনি অসাধারণ অভিনয় করেছেন। আমি তার শোকসপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি। রুবেল ভাইর জন্য আমরা সবাই দোয়া করব। আমরা চাইব আহমেদ রুবেলের মতো কেউ যেন অসময়ে চলে না যান।
এ সময় সমবেদনা ও শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, মামুনুর রশিদ, নির্মাতা শাহ আলম কিরণ, মোর্শেদুল ইসলাম , অমিতাভ রেজা, অভিনেতা ফারুক আহমেদ, অভিনেত্রী দীপা খন্দকার, রণক হাসান, নাজিয়া হক অর্ষাসহ অসংখ্য অভিনেতা, নির্মাতা ও শুভাকাঙ্খী।
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় নুরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী ছিল। এ সিনেমাতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল। ছবির প্রদর্শনীতে যোগ দিতে উত্তরা থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে এসেছিলেন তিনি। গাড়ি থেকে নামার সময়ই অসুস্থতা অনুভব করেন অভিনেতা। এরপর হেঁটে এগোতে থাকলে কিছুক্ষণ পরই অচেতন হয়ে নিচে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।