অঞ্জু ঘোষ। দেশ ছেড়েছেন ২৩ বছরের বেশি সময় আগে। এখনকার আবাস পাশের দেশ ভারতে। সেখানকার নগরিকত্বও নিয়েছেন। তবে এ দেশের মানুষ তাকে আজও ভোলেনি। চলচ্চিত্রপ্রেমী সবার আজও প্রিয়মুখ তিনি। ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ একটি ছবিই তাকে বাঁচিয়ে রাখবে যুগের পর যুগ। শুধু ছবিতে অভিনয়ই নয়, কালজয়ী গান ‘ওরে ও বাঁশিওয়ালা’র জন্যও মনে রাখবে এই মানুষটিকে।
জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা একটা সময় দিন-রাত শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। অনেকেই মনে করেন, অঞ্জু ঘোষ সময়ের আগেই রুপালি পর্দাকে গুডবাই জানিয়েছেন। কলকাতায় যাওয়ার পর থেকে গণমাধ্যমেও তেমন একটা কথা বলতে দেখা যায়নি তাকে। তবে সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন প্রতিবেশি দুই দেশের বর্তমান অস্থিরতা নিয়ে।
বরেণ্য এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের অস্থিরতা এটা খুবই অপ্রত্যাশিত। দুই দেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে, তার শান্তিপূর্ণ সমাধান আমি আশা করছি। ভারত ও বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম দেশ। সেই সম্পর্কটা যেন বজায় থাকে- সেটাই চাওয়া। আমরা অস্থিরতা চাই না, সম্পর্ক চাই।’
দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা ছাড়াও নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন জনপ্রিয় এই নায়িকা। তিনি জানান,
নতুন সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। প্রযোজক হিসেবে আগেও কাজ করেছেন তিনি। অঞ্জু ঘোষ বলেন, বর্তমানে নতুন সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। একটি পরিপূর্ণ সিনেমাই বানাবো আমরা। দর্শকরা তার এই সিনেমায় সুখ-দুঃখ-আনন্দ-বেদনা সবকিছুই দেখতে পাবেন। যোগ করে এ অভিনেত্রী বলেন, এ সিনেমায় মুম্বইয়ের অভিনয়শিল্পীরা কাজ করবেন। সেই প্রক্রিয়া এখন চলছে। নতুন বছরেই সিনেমাটি বানাতে চান তিনি।
নিজের বর্তমান জীবনযাপন নিয়ে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ খ্যাত এই নায়িকা বলেন, ‘কলকাতায় আমি বেশ ভালো আছি। শান্তিতে আছি। কাজ নিয়ে ব্যস্ত হচ্ছি। এটাই আমার জন্য বড় পাওয়া।’ তিনি বলেন, ‘মাঝে-মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আমাকে পড়তে হয়। বিশেষ করে ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে তাকে নিয়ে মিথ্যা-বানোয়াট খবর প্রকাশ করা হয় তখন খারাপ লাগে।’
এই নায়িকা বলেন, ‘যারা এসব মিথ্যাচার করছেন তাদের জানাতে চাই, অভিনয় করে আমি যে অর্থ, সম্মান অর্জন করেছি তাতে ভগবানের কৃপায় আমার পরের সাত প্রজন্ম চলে যেতে পারবে। যারা আমার অবস্থান নিয়ে মিথ্যাচার করছে তাদের জানাতে চাই, বর্তমানে আমি যে সল্টলেকের বাড়িতে থাকি তার বাজারমূল্য তারা অনুমান করতে পারবেন না। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে। হাতি মরলেও লাখ টাকা। আর অঞ্জু ঘোষ হাজার বছরে একজনই জন্মায়।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘একমাত্র আমি ১৬ বছর বয়সে তিন তিনবার তাসখন্দ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানিত হয়েছি; যা একজন অভিনেত্রীর জন্য রেকর্ড। আমাকে নিয়ে বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন সিনেমা করার। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে।’