কিংবদন্তি লালনসংগীতের শিল্পী ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ। শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিকভাবে আইসিইউতে নেয়া হলেও অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় তাকে কেবিনে রাখা হয়েছে। ফরিদা পারভীনের সবশেষ অবস্থা জানিয়ে গণমাধ্যমে এমনটাই জানালেন ফরিদা পারভীনের মেয়ে জিহান ফারিহা।
তিনি জানান, ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। শিগগির তাকে বাসায় নেয়া হবে। জিহান ফারিহা বলেন, হাসপাতালে ভর্তির সময়ই বাড়তি সতর্কতার জন্য আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। এখন তেমন কোনো জটিলতা নেই।
জানা গেছে, বর্তমানে বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে আছেন এই গায়িকা। আর তার চিকিৎসার দায়িত্ব আছেন ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
সংগীতশিল্পী হাসপাতালে ভর্তির পর ডা. আশীষ কুমার বলেন, তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি ভোরে ভর্তি হন। তার ফুসফুস আক্রান্ত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং থাইরয়েডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা আছে। বর্তমানে বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে আছেন তিনি।
১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান।
এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন।সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে। শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষার জন্য ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন তিনি।
