• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তি পেয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘নীল জলের কাব্য’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৩, ০৩:২৯ পিএম
মুক্তি পেয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘নীল জলের কাব্য’
ছবি : সংগৃহীত

গত বছর ‘সাবরিন’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছিলেন মেহজাবীন চৌধুরী। এ বছর করেছেন ‘আমি কি তুমি’ নামের আরেক সিরিজ। মেহজাবীনের অন্যান্য কাজের তুলনায় এ সিরিজ দুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে অনেক কম। দুই সিরিজের মধ্যে একটা বিষয় কমন, তা হলো দুটিই নারীকেন্দ্রিক গল্প। নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘নীল জলের কাব্য’। জাহান সুলতানার গল্পে এটি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর পর্দায় দেখা যাবে আফরান নিশো ও মেহজাবীন জুটিকে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর তিনটায় ওটিটি প্লাটফর্ম আইস্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব ফিল্মটি। এর আগে বুধবার প্লাটফর্মটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।

এ সময় শিহাব শাহীন বলেন, “এখন ওটিটিতে যে ধরনের কাজ হয় এটা একদমই তার বাইরে ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট। থ্রিলার ঘরনার চাহিদার কারণে এখন ফ্যামিলি ড্রামা বা মধ্যবিত্তের গল্পগুলো একদমই বলা হয় না। নীল জলের কাব্য একটা সাধারণ গল্প। একটা মেয়ের সমুদ্র দেখার অভিলাস বা ইচ্ছে পূরণের গল্প। আমার ধারণা, আমাদের দেশের একটা বিশাল জনগোষ্ঠী এখনও সমুদ্র দেখা থেকে বঞ্চিত। আমাদের গল্পের মূল চরিত্রটি সেই জনগোষ্ঠীকেই উপস্থাপন করছে।”

আফরান নিশো বলেন,  “গল্পটা আমার খুব কাছের, হৃদয়ের কাছাকাছি। আমরা সবাই কাজটার জন্য লেগে ছিলাম। নিজেদের কাজের জন্যই আমরা সময় করে উঠতে পারছিলাম না। সবার চাওয়া এক হওয়াতেই আমরা সেটা শেষ করতে পেরেছি। আমার বিশ্বাস কাজটা খুব সহজেই আপনাদের হৃদয়ে পৌঁছাবে।”

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের সমাজে নারীকেন্দ্রিক গল্পগুলো কেন জানি দর্শকনন্দিত হতে চায় না বা হয় না। এটা আমরা পুরুষদের কারণে কিনা, জানি না। কিন্তু আমি সবসময় এটা অনুভব করি, মেহজাবীনের সঙ্গে কাজের সময়ও, কেন একটি নারীকেন্দ্রিক গল্প দর্শক লুফে নেয় না। পুরুষরা যখন কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাজ করে, তখনই কেন সেটা সমাদৃত হয়। ওটিটির ক্ষেত্রেও এরকম দেখা যায়। এ কারণে নির্মাতারাও চান পুরুষ শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে।”

মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “আমার ক্যারিয়ারে কোনও কাজ এত দীর্ঘ দিন ধরে আটকে থাকেনি, এটা যত দিন আটকে ছিল। ২০২১- আমি খুব চাচ্ছিলাম একটা ব্যতিক্রম কাজ করতে। কিন্তু গল্প পাচ্ছিলাম না। একটা সময় এই গল্পটা পাই। এখানে আমার যে ক্যারেক্টার, ও ছোটবেলা থেকে বড় হয় স্কুল-কলেজ পেরিয়ে সংসার শুরু করে, পুরো জার্নিতে ওর একটাই ইচ্ছা ছিল- কক্সবাজার যাবে। শুটিংয়ে প্রথম সমস্যাটা আমিই করি। আমার চোখে সমস্যা দেখা দেয়। তারপরও আমরা চাচ্ছিলাম কাজটা করি। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শে আর শুটিং চালিয়ে যেতে পারিনি। এরপর ব্রেকের পর পর ব্রেক হতেই থাকলো। মনে হচ্ছিল, এত সুন্দর একটা গল্প দর্শককে দিতে চাচ্ছি, এত বাধা আসছে কেন? অবশেষে গত আগস্টে কাজটা শেষ হয়েছে। কাজটি দেখার পর সবাই সবার মতামত জানাবেন, সঙ্গে এটাও জানাবেন আমাদের কোন কোন জায়গায় আরও ভালো করা যেত।”

Link copied!