নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘সুজন মাঝি’ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার আরও অর্ধডজন চলচ্চিত্র। সম্প্রতি দেশে মুক্তি পেয়েছে বলিউড সিনেমা জওয়ান। সে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ফেরদৌস বলেন, “আসলে আমাদের ভালো ছবির দরকার। ভালো ছবি নির্মাণ হলে ছবির বাণিজ্যে আমরা টিকে থাকব।”
দেশের বাজারে হিন্দি ছবির বাণিজ্য কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ফেরদৌস বলেন, “এখন বিশ্বায়নের যুগ। হাতের মুঠোয় প্রায় সবকিছু। চাইলেই সবকিছু বন্ধ করা সম্ভব নয়। একটি নীতিমালা মেনে দেশে হিন্দি ছবি চলছে। দুই বছরের জন্য অনুমতি রয়েছে। এক বছর তো চলেই গেল। বাকি এক বছর পর দেখা যাক আবার কী সিদ্ধান্ত বা নীতিমালা আসে। আমাদের দেশে যেমন হিন্দি সিনেমা আসছে, আবার আমাদের ছবিও তো ভারতে যাচ্ছে। আসলে আমাদের ভালো ছবির দরকার। ভালো ছবি নির্মাণ হলে ছবির বাণিজ্যে আমরা টিকে থাকব।”
এ সময় ‘সুজন মাঝি’ সিনেমার বিশেষত্ব প্রসঙ্গে এ অভিনেতা বলেন, “গ্রামীণ প্রেক্ষাপটের একটি মৌলিক গল্পের প্রেমের সিনেমা এটি। গ্রামবাংলার সিনেমা বলতে আমরা যা বুঝি তা-ই আছে সিনেমাটিতে। আমরা শহরে বসবাস করলেও আমাদের শেকড় কিন্তু গ্রাম। গ্রামের সঙ্গে সবার ভালোবাসা, স্মৃতি জড়িয়ে আছে। দর্শকের চিরচেনা সেই গ্রামীণ আবহটাই ছবিতে তুলে ধরেছেন পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। যেখানে আমাদের নিজেদের সংস্কৃতির কথা বলা হয়েছে। এ ধরনের সিনেমা এখন নেই বললেই চলে। কোনো অ্যাকশন-মারপিট নেই, ধামাকা নাচগানের বাইরে একটি সামাজিক সিনেমা ‘সুজন মাঝি’। পরিবারের সবাই মিলে দেখার মতো সিনেমা এটি।”
ফেসদৌস আরও বলেন, “জওয়ান সিনেমার সঙ্গে সুজন মাঝির তুলনা করা ঠিক নয়। ওদের বাজেট, ওদের মার্কেট সবই বড়। করোনার সময় সব কিছু বন্ধ ছিল, সিনেমা হলও। তখন হল মালিকরা দাবি করেছিলেন, বিদেশি সিনেমা আমদানির। তারা এটাও বলেছিলেন যে হল বাঁচাতেই এই উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা।”