মিম মানতাসা। জনপ্রিয় মডেল ও লাক্স সুপারস্টার। অনেকদিন ধরেই মিডিয়ার আড়ালে। গুঞ্জন উঠেছে জনপ্রিয় খল অভিনেতা ডিপজলের ‘জিম্মি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমাটি ৪ অক্টোবর মুক্তি
৪ অক্টোবর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এই নিয়ে পাবে মনোয়ার হোসেন ডিপজল অভিনীত ও পরিচালিত ‘জিম্মি’। শুরুতে ওয়েব সিরিজ হিসেবে শুটিং হলেও এখন এটি পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ছবির পাত্র-পাত্রীর তালিকায় শিরিন শিলা, শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগরের সঙ্গে আছেন মিম মানতাসা নামের একজন। অনেকেই এই মিম মানতাসাকে ভেবে ভুল করেছেন।
এ প্রসঙ্গ লাক্স সুপারস্টার মিম মানতাসা বলেন, ‘ডিপজলের সঙ্গে আমার কখনো দেখাই হয়নি। এই ছবিতে আমি অভিনয় করব কোথা থেকে! অনেক জায়গায় দেখছি আমার নাম। এই নামে আর কি কেউ আছেন? আমি জানি না। যদি না থাকেন তাহলে এটা নিন্দাজনক। আমি শকড। নিশ্চয়ই তারা বিষয়টি পরিষ্কার করবেন। আমার ক্যারিয়ার শুরু ২০১৮ সাল থেকে। তখন থেকেই বেছে বেছে কাজ করার চেষ্টা করছি।’
’
সিনেমায় মিম মানতাসার সমসাময়িক অনেকেই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। উল্টোদিকে বেশির ভাগ সময়ই ঘরে কাটছে মানতাসার। এর মধ্যে যে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব পাননি তা নয়, কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিক মিলছে না। সত্য ঘটনা অবলম্বনে যেসব গল্প পর্দায় আসছে, সেগুলো মানতাসার বেশ পছন্দ। এ রকম বাণিজ্যিক ছবি হলেও করার ইচ্ছা তার। তবে ‘গল্পের গরু গাছে ওঠে’ টাইপের ছবিতে কাজ করতে চান না বলেই এত দিনে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটেনি তার। নিজেকে একটু দুর্ভাগাই মনে করেন অভিনেত্রী।
জনপ্রিয় এই মডেল আরও বলেন, “আমি আসলে সময়টাই পেলাম না। ২০১৮ সালে ‘লাক্স সুপারস্টার’ হওয়ার পর মাত্র এক বছর হাতে পেয়েছিলাম। সেই এক বছর শোবিজ জগৎ বুঝতে বুঝতেই কেটে গেছে। এরপর তো করোনায় দুই বছর কেটে গেল। এর মধ্যে বিয়ে করলাম। নতুন সংসারে সময় দিতে হয়েছে। পড়াশোনাটাও শেষ করতে হলো। সব মিলিয়ে এ বছর যখন একটু গুছিয়ে উঠেছি তখন আবার রাজনৈতিক পটপরিবর্তন। এখন তো আমি কেন, কেউই কাজ করছেন না।”
বিজ্ঞাপনে কাজ নিয়ে মিম মানতাসা বলেন,“ শুরু থেকেই বিজ্ঞাপনে ব্যস্ত সময় পার করছি। দেশসেরা অনেক পণ্যের মডেল হয়েছি। দেশসেরা নির্মাতারাও আমাকে নিয়ে কাজ করেছেন। এই সেক্টরটা আমার জন্য খুব লাকি।”
নতুন ভাবনা নিয়ে এই লাক্স তারকা বলেন, ‘অভিনয়ের প্রতি আমার আলাদা একটা ভালো লাগা আছে। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন দারুণ পছন্দ। তবে এখন রিলের জীবন আর বাস্তব জীবন তো এক নয়। নিজেকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। সর্বোচ্চ আর এক বছর দেখব। যদি ভালো কোনো স্ক্রিপ্ট পাই, ভালো নির্মাতা পাই তাহলে অভিনয়টাকেই পেশা হিসেবে নেব। নইলে উচ্চ ডিগ্রির জন্য বিদেশে পাড়ি জমাব। চাকরিতেই থিতু হতে হবে আমাকে। কিছু করার থাকবে না।”