দীর্ঘদিন সংগ্রামের পর নিজেকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে এসেছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। অর্জন করেছেন যশ-খ্যাতি এবং অর্থ। শুধু সাফল্যের দিক থেকেই নয়, সম্পদের দিক থেকেও ভারতের সকল অভিনেতাকে ছাড়িয়ে তিনি। ৫৮ বছর বয়সেও এখনও দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছেন এই অভিনেতা, ভক্তদের উপহার দিয়ে যাচ্ছেন একের পরে এক ব্লকবাস্টার সিনেমা। যদিও তার আজকের অবস্থান তৈরি করাটা সহজ কোনো বিষয় ছিল না। এই বলিউড সামরাজ্য সামলাতে গিয়ে প্রায় ১৭টি মুঠোফোন ব্যবহার করেন শাহরুখ। সম্প্রতি অভিনেতাকে নিয়ে এমনই মজার এই তথ্য শেয়ার করেছেন তার বন্ধু বলিউড প্রযোজক-অভিনেতা বিবেক ভাসওয়ানি।
কাজের তাগিদে বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হয় শাহরুখকে। মূলত সে কারণেই ১৭ টি ফোন ব্যবহার করে থাকেন বলিউডের এই সুপারস্টার। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখের এই তথ্যটি প্রকাশ করলেন বলিউড প্রযোজক-অভিনেতা বিবেক ভাসওয়ানি।
শাহরুখের সঙ্গে বিবেকের বন্ধুত্বের সম্পর্ক বহু পুরোনো। শাহরুখ যখন বলিউড ক্যারিয়ার নিয়ে সংগ্রাম করছেন, তখন অনেক সহযোগিতা করেন বিবেক। এমনকী বিবেকের বাড়িতে শাহরুখের থাকার ব্যবস্থাও করেছিলেন। অথচ শাহরুখের সঙ্গে এখন তার যোগাযোগ নেই বললেই চলে!
জানা গেছে, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন কঠিন সময় পার করেছেন বিবেক। কিন্তু তবুও এমন খারাপ পরিস্থিতিতে শাহরুখের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি তিনি। নিজের এমন বিপদের সময় কেন শাহরুখ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি? এমন প্রশ্নের জবাবে বিবেক বলেন, শাহরুখ ১৭টি মুঠোফোন ব্যবহার করেন। এর মধ্যে আমার কাছে একটি ফোনের নম্বর আছে।
‘জওয়ান’ সিনেমা মুক্তির পর শাহরুখকে আমি ফোন করেছিলাম কিন্তু ধরেনি। পড়ে আমি যখন গোসল করছিলাম, তখন শাহরুখ আমাকে ফোন করেছিল। আর আমি রিসিভ করতে পারিনি। বর্তমানে শাহরুখের অনেক দায়িত্ব, সবসময় ভ্রমণের উপরেই থাকে। সে একটি সাম্রাজ্য চালায়। তাই আমিও বলি, ‘ওকে’।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা কথাও বলি না, দেখাও করি না। তবে যখন দেখা হয়, তখন মনে হয় না আমাদের দেখা হওয়ার মাঝে এতগুলো বছর কেটে গেছে। আমি একজন শিক্ষক। একটি স্কুলের ডিন। আমি লোকাল বাসে, ট্রেনে চলাফেরা করি। কিন্তু শাহরুখ একজন সুপারস্টার।
চার বছর আগে শাহরুখের জন্মদিনের পার্টিতে অভিনেতার সঙ্গে বিবেকের দেখা হয়েছিল। বলা যায়, সর্বশেষ সেখানেই দুজনের দেখা হয়। সেই স্মৃতিচারণ করে বিবেক বলেন, চার বছর আগে শাহরুখের জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলাম। আমাকে দেখে তখন শাহরুখ বলেছিল— স্যার, আসুন প্লিজ। চলুন আমার বাচ্চাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই। সেই পার্টিতে আমরা খুব আনন্দ করেছিলাম।