ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নিঝুম রুবিনা গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে প্রাণে বাঁচলেন। রাইড শেয়ারিং গাড়িতে চড়ে বনশ্রী থেকে ধানমন্ডি যাওয়ার সময় এ ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ভিডিও বার্তায়ও সেই ভয়াবহ ঘটনার কথা মনে করে কাঁদছিলেন এই নায়িকা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিঝুম রুবিনা একটি গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকের ঘটনাটি নিয়ে ঢাকার হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি। সাধারণ ডায়েরি নম্বর ১২৩৭। সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অ্যাপসের মাধ্যমে গাড়ি ডাকেন। বনশ্রীর বাসায় মো. রকি নামের একজন চালক টয়োটা করোলা এক্সিও ঢাকা মেট্রো–গ ৪৫২৯৭৮ নম্বরের একটি গাড়ি নিয়ে হাজির হন। এরপর গাড়িটি ধানমন্ডি যাওয়ার কথা থাকলেও তা গুলশানের দিকে নিয়ে যেতে চান চালক। এ নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি হয়। বাঁচাও বাঁচাও বলে ডাকলেও গাড়ি থামাননি সেই চালক।
এ প্রসঙ্গে নিঝুম রুবিনা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার স্বামী গ্রামের বাড়ি গিয়েছে, যে কারণে নিজের গাড়ি রেখেই বের হতে হয়। কারণ, আমি ড্রাইভিং পারি না। যে কারণে রাইড শেয়ারিং কল করি বনশ্রী থেকে ধানমন্ডি যাব। চালক হাতিরঝিলে উঠে সরাসরি ধানমন্ডির রোডে না ঢুকে গুলশানের দিকে প্রবেশ করে। জানতে চাইলে বলে, “আপনার লোকেশনেই যাচ্ছি, চুপ থাকেন।” মঙ্গলবার রাস্তা ফাঁকা, তারপরও সে গুলশান রোডে ঢুকেছে। তখন তার গাড়ির স্পিড ৮০ থেকে ১০০। অনেক হাই স্পিডে গাড়ি টেনে যাচ্ছিল। বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহ লাগে। তাকে বলি, “আমাকে এখানেই নামিয়ে দেন।” তখন সে আমাকে বলল, “চুপ থাক। কোনো কথা বলবি না।” তারপর আমি গাড়ির গ্লাস খুলে বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার শুরু করি। কারও সাড়া পাইনি। একটা পর্যায়ে গাড়ির গতি একটু কম মনে হলে লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যাই।’
নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই নায়িকা তার ফেসবুকে লেখেন, ‘আমরা কোন দেশে বসবাস করছি? দিনদুপুরে কি আমাদের নিরাপত্তা পাব না?...আজ যদি গাড়ি থেকে জাম্প করে না নামতাম, তাহলে আমাকে খুঁজে পাওয়া যেত?’
রুবিনা বলেন, ‘আজ যদি আমার কিছু হয়ে যেত, আমার ছোট্ট একটা বাচ্চা আছে, তার কী হতো? আমার সন্তানটাকে কে দেখত? লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে নামার কারণে মাথায় আঘাত পেয়েছি। আল্লাহপাক আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।’