১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার একটি সংলাপ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। পর্দায় ছিলেন আনোয়ার হোসেন ও বাপ্পারাজ। আর ছবিতে হেনা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শাবনাজ। ওই ছবির আরেকজন নায়ক ছিলেন অমিত হাসান।
২৯ বছর আগে মুক্তি পাওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ ছবির পরিচালক ইফতেখার জাহান। আর ছবির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ ছবির সেই ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ‘সিনেমার এক পর্যায়ে নায়ক বকুল (বাপ্পারাজ) দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে তাঁর প্রেমিকা হেনার (শাবনাজ) বাড়ি সাজানো দেখতে পান। তিনি হেনার বাবাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘চাচা, বাড়িঘর এত সাজানো কেন? আর হেনা কোথায়? চাচা, কথা বলছেন না যে। চুপ করে আছেন কেন?’ জবাবে চাচা বলেন, ‘হেনাকে তুমি ভুলে যাও, হেনার বিয়ে হয়ে গেছে।’ বকুল তখন আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘না না, হেনার বিয়ে হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি না, আমি বিশ্বাস করি না।’ এরপর ‘প্রেমের সমাধি ভেঙে, মনের শিকল ছিঁড়ে, পাখি যায় উড়ে যায়’ গানটি পর্দায় বাজতে থাকে।
সংলাপটি সামাজিক মাধ্যমে পুনরায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনেকেই এই দৃশ্যের ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করছেন এবং নিজেদের মতামত ও অনুভূতি প্রকাশ করছেন। তবে ঠিক কী কারণে এ সংলাপটি হঠাৎ করে ভাইরাল হলো, তা স্পষ্ট নয়। প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলে যে প্রেমিক যে কষ্টের মধ্য দিয়ে যায়, তা-ই বোঝানো হয়েছে।
শাবনাজ ও বাপ্পারাজ দুজনেই এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। তবে এত বছর পর ছবির ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। শনিবার একটি গণমাধ্যমকে শাবনাজ জানালেন, এই ভিডিও ক্লিপ নিয়ে তিনি ও বাপ্পারাজ হাসাহাসি করেছেন। নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে যা নজরে আসে, তাই একে অপরকে পাঠিয়ে দেন।
শাবনাজ বললেন, ‘আমি আর বাপ্পা ভাই তো খুব মজা নিচ্ছি। তবে ভালো লাগছে, মানুষ যে ছবিটার কথা এখন আবার মনে করছে। নায়ক-নায়িকার আবেগ-অনুভূতির সঙ্গে নিজেরা কানেক্ট করতে পারছেন। ছবিটা তখনো প্রশংসিত হয়েছে। এখনো প্রশংসিত হচ্ছে। একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে এটা তো অনেক বড় পাওয়া। মুক্তির পর মানুষ ছবি দেখে, সেই সময়ে হয়তো হিট হয় বা আলোচিত হয়। এরপর তো মানুষ ভুলে যায়। কারণ, এত বছরে এত এত ছবি মুক্তি পেয়েছে, এত এত নতুন গল্প, নতুন সবকিছু—এর মধ্যে ২৯ বছর আগের সেই ছবির কথা ভুলে যাওয়ারই কথা। কিন্তু সেখানে আবার পুরো গল্প নিয়ে, পুরোনো কথা নিয়ে চর্চা হচ্ছে—সত্যি খুব ভালো লাগছে।’