বলিউডডের ‘কড়ক সিং’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার অভিনেত্রী পার্বতী ও বাংলাদেশের নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। এক সাক্ষাৎকারে জয়ার অভিনয় নিয়ে পার্বতী উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, ‘জয়া অভিনেত্রী হিসেবে তুখোড়। আমরা ভালো সময় কাটিয়েছিলাম শুটিংয়ের সময়। ভবিষ্যতে জয়ার সঙ্গে আরও কাজ করার ইচ্ছে আছে।’
পার্বতী অভিনীত চলতি বছরের আলোচিত ছবি ছিল ‘থাঙ্গালান’। এ সম্পূর্ণ অন্য রূপে ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী। ছবিতে চিয়ান বিক্রমের মতো তারকার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছিলেন মালয়ালম অভিনেত্রী। ছবিতে তিনি একেবারেই গ্ল্যামারহীন।
পার্বতী বলেছেন, ‘গ্ল্যামার চরিত্রে অভিনয় না করলেও এখানে আমার মেকআপ করতে অনেক বেশি সময় লেগেছে। রোজ আমার প্রায় আড়াই ঘণ্টা মেকআপের পেছনে যেত। চড়া রোদের মধ্যে শুটিং হতো। একদিন পরিচালক বেলা দুইটার সময় আমাদের কৃষিকাজ করতে বলেছিলেন। তাপে আমরা ঝলসে যেতাম। আসলে পরিচালক এটাই চেয়েছিলেন। ছবিতে আমাকে গ্ল্যামারাস লুকে দেখা যায়নি। তবে এই লুক আমার দারুণ ভালো লেগেছিল। আসলে আমি নিজেকে যেকোনো রূপেই ভালোবাসি।’
দক্ষিণের দাপুটে অভিনেত্রী হলেও হাতে গোনা বলিউড ছবিতে পার্বতীকে দেখা গেছে। ইরফান খানের সঙ্গে ‘করিব করিব সিঙ্গেল’-এ শেষ তাঁকে বড় পর্দার হিন্দি ছবিতে দেখা গেছে। এরপর করেছেন জিফাইভের ‘কড়ক সিং’। হিন্দি ছবিতে কেন দেখা যায় না?
অভিমান নিয়ে দক্ষিণি এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বলিউড থেকে ডাক পাই না। আমি তো হিন্দি ছবি করতে চাই। কিন্তু আমাকে না ডাকলে আমি কী–ইবা করতে পারি। দক্ষিণি শিল্পীদের হিন্দি নিয়ে সমস্যা থাকে। কিন্তু আমি দক্ষিণি ভাষার আগে হিন্দি লিখতে-পড়তে শিখেছি। বাবা আর্মিতে ছিলেন। ক্যান্টনমেন্টে প্রচুর উত্তর ভারতীয় থাকতেন। বন্ধুদের মধ্যেই অনেক উত্তর ভারতীয় ছিল। ওদের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলেছি।’
‘করিব করিব সিঙ্গেল’ ছবিটি পার্বতীর হৃদয়ে বিশেষ স্থান নিয়ে আছে। তিনি বলেন, এই ছবি থেকে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ইরফান খানের সঙ্গে অভিনয়। অভিনেত্রী বলেন, ‘ইরফান আর বিক্রমের মধ্যে সবচেয়ে বড় মিল, দুজনই উদার মনের। আপনি তাদের ব্যাপারে কী বললেন বা কী দিলেন, এসব তাঁরা মনে রাখেন না। আমি যেহেতু দক্ষিণ থেকে এসেছিলাম, ইরফান আমাকে সব দিক থেকে সাহায্য করতেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত।’
‘কড়ক সিং’ ছবিতে পার্বতী ছাড়া ছিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান। জয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই পার্বতী উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘জয়া অভিনেত্রী হিসেবে তুখোড়। আমরা ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। ভবিষ্যতে জয়ার সঙ্গে আরও কাজ করার ইচ্ছে আছে।’