আলোচিত ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ের খবর নিয়ে যেন কারো ঘুম হচ্ছিল না। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আলোচনা, বিতর্ক চলেছে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিয়ের ছবি নিয়ে।
তৌহিদ আফ্রিদির বেশ কিছু ছবি গত ১৩ নভেম্বর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। তাতে বরের সাজে দেখা যায় আফ্রিদিকে। ছবি দেখে অনেকের ধারণা তৌহিদ আফ্রিদি এবং টিকটকার রাইসা বিয়ে করেছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিয়ের যেসব ছবি ব্যবহার করে খবরও প্রকাশিত হয়।
তবে পরে দেখা দেয় তথ্য বিভ্রাট। আফ্রিদির পরিবারসহ কনের পরিবার থেক দাবি করা হয়, আফ্রিদির সঙ্গে পাত্রী রাইসা ছিলেন না। পরে জানা যায় কনের বেশে ছিলেন টিকটকার রাইসার জমজ বোন রামিসা আল রিসা।
বিভ্রান্তকর খবর প্রকাশের কারণে বিরক্ত হন আফ্রিদির শ্যালিকা রাইসা। তিনি গণমাধ্যমকে রাইসা বলেন, তিনি ও রামিসা আল রিসা দুজন যমজ। গত বছর তার বিয়ে হয়েছে। আফ্রিদির সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বোন রিসার। এক পর্যায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দেন রাইসা।
এতসব ঘটনার মধ্য দিয়ে কেটে গেছে এক সপ্তাহের বেশি সময়। এর মধ্যে বলা যায় একেবারেই নিশ্চুপ ছিলেন তৌহিদ আফ্রিদি। অবশেষে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন ইউটিউব তারকা। যদিও কবে, কখন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন, সে বিষয়ে কোনো কিছুই প্রকাশ করেননি।
টেলিভিশন শোতে তৌহিদ আফ্রিদি ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক আয়োজনে তার কাবিন হয়েছে। দুই পরিবারের সদস্যরা কাবিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আফ্রিদি বলেন, ‘শিগগিরই সবাইকে নিয়ে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করব। বিয়ে তো একটা দায়িত্ব। সবার কাছে দোয়া চাইব, আমার জীবনটাকে যেন গুছিয়ে রাখতে পারি। আমি এখন আমাদের টেলিভিশন চ্যানেল মাই টিভি নিয়ে ব্যস্ত। উপস্থাপনা করছি। ইউটিউব কনটেন্ট বানানোর কাজ করব।’
নিজের বিয়ের চর্চা নিয়ে তৌহিদ আফ্রিদি বলেন, ‘আমি গাড়িতে বসে শুনি গোপনে বিয়ে করলেন তৌহিদ আফ্রিদি! আরে, বিয়ে তো গোপনে করিনি, আমি বিয়ের ছবি আপলোড দেওয়ার আগে আপলোড হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম বাসায় যাব, এরপর সবাইকে বিয়ের খবর জানাব। কিন্তু সে সময় আর কই পেলাম।’
আফ্রিদি বলেন, ‘অনেকেই ছবি পোস্ট করেছে। আসলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—এটা সম্পূর্ণ মহান আল্লাহ তাআলাই লিখে রাখেন। কার, কখন, কোথায়, কীভাবে বিয়ে হবে, এখানে কারও হাত নেই। আমি আমার মাকে নিয়ে কনে দেখতে গিয়েছিলাম, পরিবারকে নিয়ে দেখতে গেছি, ওখানেই কাবিন হয়ে গেছে।’
বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্পর্কে আফ্রিদি বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে, মানুষ আসলে কনফিউজড হয়ে গেছে, তারা তো যমজ বোন। যমজ বোন হওয়ার কারণে আমার শালিকে (শ্যালিকা) অনেকে আমার ওয়াইফ বলা শুরু করেছে। এসব এক দিক থেকে হাস্যকর লাগে।’