আলোচিত টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লার পুলিশ। লায়লা আখতার ফারহাদের ধর্ষণ মামলায় মঙ্গলবার (১১ জুন) তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হবে।
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে লায়লা আখতার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ফৌজদারি বিধির ৩২৩, ৩০৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ০৫(১২)২০২৩)। পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ হিসেবে আদালত থেকে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এ ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচিত মুখ প্রিন্স মামুন তখন বলেন, গত ডিসেম্বরে মাঝরাতে লায়লা ও আমার দু’জনার মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তখন উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। যা পরবর্তীতে মামলায় গড়ায়। বিষয়টি এখন আইনিভাবে মোকাবিলা করব আমি।
এছাড়া প্রিন্স মামুন বলেন, যিনি মামলা করেছেন তিনি বলেছিলেন মামলাটি তুলে নেবেন। এ কারণে আমিও আর আদালতে কোনো হাজিরা দেইনি। আর আদালতে হাজিরা না দেয়ার জন্যই আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় ধর্ষণ মামলা রয়েছে। কুমিল্লার পুলিশ প্রিন্স মামুনকে হস্তান্তর করবে। আমাদের টিম কুমিল্লায় যাচ্ছে।
লায়লা আর মামুনের সম্পর্কের দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রায় তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় তাদের। এরপর প্রেম থেকে সম্পর্ক গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত।
দুই পরিবারের সম্মতিতে মামুনের সঙ্গে তাদের বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। আর এরপর থেকেই মামুন লায়লার সঙ্গে বারিধারার ডিওএইচএসের বাসায় থাকতে শুরু করেন। তারপরই শুরু হয় সম্পর্কের টানাপোড়ন।
প্রায়ই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে লায়লার থেকে টাকা নেয়া, মাদক সেবন করে গভীর রাতে বাসায় প্রবেশ করা, অশ্লীল ভাষায় কথা বলা এমনকি লায়লাকে মারধর করা প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়ায় মামুনের।