ভারতের শক্তিশালী পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ নির্মিত ‘খুফিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশের গুণী অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের। সিনেমাটি মুক্তির পর থেকে ভূয়সী প্রশংসা কুড়াচ্ছেন বাঁধন। সিনেমাটি দেখে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বন্যা মির্জা।
এক ফেসবুক পোস্টে বন্যা মির্জা বলেন, “একজন লাক্স ফটো সুন্দর, ভারী মেকআপ করে তিনি কেবল মাত্র সুন্দরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে যা শিখেছিলেন, তাই সম্বল করে বাংলাদেশের টেলিভিশন মিডিয়ার তারকা হয়েছেন। তার হয়তো জানা বোঝার দরকার হয়নি যে, অভিনেতা হতে হবে। অনেক ঝড় সামাল দিয়ে তিনি জেনেছেন, তারকা না অভিনেতা হতে হবে। তার জন্য নিজেকে একটু একটু করে তৈরি করেছেন।”
অভিনয় শব্দটির ব্যাখ্যা করে বন্যা মির্জা বলেন, “অভিনয়ের সঙ্গে দক্ষতা শব্দটি আমরা বলেই থাকি। কিন্তু দক্ষতা আসলে কী? ভালো অভিনয় করতে পারা? ভালো অভিনয় কী? দেখলেই বোঝা যায় পরিশ্রম করেছেন? একেবারে ঘেমে-নেয়ে উঠেছেন? না, তা না। একমাত্র কাজ অভিনেতার তা হলো, নিজেকে ভুলে না গিয়ে তাকে পেছনে রেখে সামনে অন্য এক মানুষকে দাঁড় করানো! সেই মানুষের সত্য দেখানো। নিজেকে আর দর্শককে বিশ্বাস করানো যে, যাকে তিনি সামনে রাখছেন, এটা তারই জীবন! আর তা এতটাই সত্য যে, দর্শক একবারও চোখ ফেরাবেন না। কাজটা ভয়ানক দুরূহ! তাই কি করা যায়? যায়, আর ঠিক তাই, আমি দেখলাম কোনো এক হিনার জীবন, যার জীবন মোটেও বাঁধনের জীবন নয়।”
বাঁধনের অভিনয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করে বন্যা মির্জা বলেন, “আজমেরী হক বাঁধন তুমি করে দেখালে। আর আমরা দেখলাম যে, কীভাবে একজন ‘নটি’র জন্ম হয়! বাঁধন কানে গেছেন। দারুণ অভিনয় করেছেন। তবু আমি বাঁধনকেই দেখেছি। আমি হিন্দি সিনেমার ফ্যান না। বাঁধনের জন্যই দেখেছি। কিন্তু কোথাও আমি তাকে দেখিনি! হিনাকে দেখলাম। হিনার জীবন দেখলাম। ডায়লগ, গেসচার, এক্সপ্রেশন সকল মিলে অনবদ্য। একজন অভিনেতার জীবনে এইটুকুই সত্য যে, সে হয়ে ওঠে অন্য আরেকজন! আমি অভিভূত!”
সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা অমর ভূষণের ‘এস্কেপ টু নোহোয়ের’ এসপিওনাজ নোভেলের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে স্পাই থ্রিলার ‘খুফিয়া’। এতে বাংলাদেশি মেয়ে হিনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন। তিনি ছাড়াও এতে আরও চরিত্রে অভিনয় করেছেন, টাবু, আশিষ বিদ্যার্থী, আলি ফজল, ওয়ামিকা গাব্বি প্রমুখ।