ঈদে মুক্তির মিছিলে রয়েছে ১৪টি সিনেমা। আলোচনায় থাকা ছবির মধ্যে অন্যতম গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, হিমেল আশরাফের ‘রাজকুমার’ এবং মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’। এরই মধ্যে তিনটি ছবিরই হল বুকিং শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ‘রাজকুমার’ কয়েকটি হলে রেকর্ডসংখ্যক রেন্টালে বুকিং করেছে।
অথচ এই তিন ছবির কোনোটিরই পরিচালক বা প্রযোজক গতকাল দুপুর পর্যন্ত চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতে ছবিগুলোর নাম নিবন্ধন করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সমিতির রেজিস্ট্রার সৌমেন রায়।
তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত ঈদে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমাদের সমিতিতে নিবন্ধন হয়েছে ১১টি ছবির নাম। সেগুলো হলো জাহিদ হোসেনের ‘সোনার চর’, মিশুক মনির ‘দেয়ালের দেশ’, মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কাজের ছেলে’, ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’, কাজী হায়াৎ ও নিপার ‘গ্রীনকার্ড’, কামরুজ্জামান রোমানের ‘মোনা—জ্বীন ২’, মোহাম্মদ ইকবালের ‘ডেডবডি’, জসিম উদ্দিন জাকিরের ‘মায়া—দ্য লাভ’, আহমেদ হুমায়ূনের ‘পটু’ এবং রোমানের ‘লিপস্টিক’।
তবে ‘রাজকুমার’, ‘কাজলরেখা’ ও ‘ওমর’-এর কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি আমি। শনিবার সন্ধ্যায় বা রবিবার তাঁরা অনুমতি নিতে পারবেন। সোমবার থেকে কিন্তু সমিতি বন্ধ থাকবে।”
এদিকে ছবি মুক্তি দিতে হলে অবশ্যই প্রযোজক সমিতিতে নাম নিবন্ধন এবং তাদের অনুমতি নিতে হয়, জানিয়েছেন সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।
তিনি বলেন, ‘এটা সমিতির আইনেই আছে। শৃঙ্খলা রাখার জন্যই আসলে আইনটি করা হয়েছে। নইলে কে কখন কোথা থেকে ছবি মুক্তি দেবেন তার তো হিসাবও থাকবে না, আবার নিজেদের মধ্যে ঝামেলাও তৈরি হবে। আশা করছি, যাঁরা এখনো অনুমতি নেননি তাঁরা নেবেন।’
‘কাজলরেখা’ কেন সমিতিতে এখনো নিবন্ধন করেনি, সে বিষয়ে নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সঙ্গে কথা বললে তিনি খানিকটা বিস্ময় প্রকাশ করেন।
বলেন, ‘হায় হায়! আমার আসলে মনেই ছিল না। কিছুক্ষণ আগে বিষয়টা মনে হয়েছে। আমি লোক পাঠাচ্ছি কাগজপত্রসহ। রাতেই (গতকাল) নিবন্ধন করে ফেলব।’
একই কথা বলেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজও। তিনি বলেন, ‘আমি আসলে ছবি নির্মাণ করে প্রযোজক ও পরিবেশককে বুঝিয়ে দিয়েছি। এগুলো তো তাঁদের দায়িত্ব। আমার ছবি মুক্তি দিচ্ছেন অনন্য মামুন (অ্যাকশন কাট)। তিনি এ বিষয়ে অভিজ্ঞ। আশা করছি, দ্রুত তিনি সমিতি থেকে নিবন্ধনপত্র নেবেন।’
তবে ‘রাজকুমার’ ছবির পরিচালক হিমেল আশরাফকে ফোনে পাওয়া যায়নি।