• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হোয়াটসঅ্যাপে হিরো আলমকে হত্যার হুমকি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৫:০২ পিএম
হোয়াটসঅ্যাপে হিরো আলমকে হত্যার হুমকি
আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। ফাইল ফটো

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে দুই দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে হোয়াটসঅ্যাপে এ হুমকি দেওয়া হয়। পরে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া হত্যার হুমকির স্ক্রিনশট নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন তিনি।

হিরো আলম বলেন, “আমার হোয়াটসঅ্যাপে রাত ৩টা ২০ মিনিটে অচেনা একটা নম্বর থেকে প্রথমে মেসেজ দেওয়া হয়। সেখানে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, তুই সাবধানে থাকিস। কতটুকু পড়ালেখা করছোস, তুই আসিফ মাহাতাব স্যারকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলি। তুই আমার পরিচয় নিবিনি বল। তোরে আমি দুই দিনের ভেতরে মারমু, তোর কোন বাপে ঠেকায় দেখব, তুই শেষ।”

হিরো আলম বলেন, “এরপর ৩টা ২৫ মিনিটে আবার মেসেজ দেয়। সেখানে লেখা হয়, তোর কতটুকু শক্তি আছে আমি দেখমু। এ মেসেজের তিন মিনিট পরই একটা পিস্তলের ছবি পাঠানো হয়। আর সেখানে গালি দিয়ে লেখা হয়, প্রকাশ্যে তোকে গুলি করমু।”

আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, “আমি এখন ঢাকায় আছি। এ বিষয়ে থানায় জিডি করব। আর আসিফ মাহতাবকে নিয়ে আমি কোনো বাজে মন্তব্যও করিনি।”

হিরো আলমকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো মেসেজ

বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন হিরো আলম। তবে দুটি আসনেই পরাজয় হয় তার। পরবর্তীতে গত বছরের ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নিয়েও পরাজিত হন তিনি। হারান জামানত।

এর আগেও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন হিরো আলম। যদিও পরে ‘অনিয়মের অভিযোগ তুলে’ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম শৈশবে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি বিক্রি এবং ডিশ সংযোগের ব্যবসা করেন। নিজেই মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিশ লাইনে সম্প্রচার শুরু করেন। ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি।

Link copied!