বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে নতুন সংযোজন ‘অন্যের স্ত্রীকে নিজের স্ত্রী দাবি।’ এমন কর্মকাণ্ডে ওই তরুণীর স্বামী নাদিম আহমেদ নিজের স্ত্রী আরশিকে নোবেলের বাড়ি থেকে আনতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসেন। এরপর কান্নারত অবস্থায় নাদিম জানান, ‘নোবেলের বাসায় গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী এবং নোবেল দুজনেই নেশায় আসক্ত।’
বুধবার (২২ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে নাদিম আহমেদ ১০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন। কথা বলার একপর্যায়ে কান্না করেন নাদিম। এসময় পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী নাদিম।
লাইভের শুরুতেই নাদিম বলেন, “আমার সঙ্গে কী ঘটে গেছে, আমি জানি। এটা আমার লাইফের পেইনফুল একটা ঘটনা। আমাদের ভালোবাসার সংসার ছিল, সবকিছু ভালো চলছিল। হঠাৎ করেই চলে গেল। পরে হুট করে দেখি আমার স্ত্রী বাংলাদেশের সিংগার নোবেলের সঙ্গে বিয়ের স্ট্যাটাস দিয়েছে। আমি প্রথমে মানতে পারছিলাম না এটা আরশি। আমার জন্য ব্যাপারটা খুব ইমোশনাল।”
নাদিম আরও বলেন, “এরপর হঠাৎ করেই দেখি নোবেলের আইডিতে আরশিকে বিয়ের দাবি করা একটি পোস্ট। এটা আমার জন্য মেনে নেওয়ার মতো ছিল না। আমি নোবেলের বাড়িতে পুলিশ নিয়ে যাই। এসময় আরশির বাবা-ভাই আমার সঙ্গে উপস্থিত ছিল। সেখানে গিয়ে দেখি তারা দু’জনেই নেশায় আসক্ত হয়ে আছেন। তবু চেষ্টা করেছি আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার। কিন্তু পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে আরশি জানান, সে আমার কাছে ফিরতে চান না।”
এসময় নাদিম আরও বলেন, “আমার একটাই কথা, আমার ওয়াইফকে কিন্তু আমি ছাড়িনি, আমি ডিভোর্স দিইনি। সেটা সে অবস্থায় আছে। আমি চেষ্টা করেছি তাকে ফিরিয়ে আনতে। আমি ফোর্স নিয়ে তার বাসায় গিয়েছি। কিন্তু সে আমার সঙ্গে আসেনি, আমাকে অস্বীকার করেছে।”
এর আগে রোববার (১৯ নভেম্বর) নিজের ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে দুটি ছবি প্রকাশ করেন নোবেল। যেখানে ওই তরুণীকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখা যায় নোবেলের সঙ্গে। এরপরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে আরশি নামের ওই তরুণীর সঙ্গে নিজের বিয়ের খবর জানান দেন নোবেল, যা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। যদিও কবে বিয়ে করেছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি বিতর্কিত এই সংগীতশিল্পী।