বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার শানু। ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। দিল্লির সিংহাসনে তখন ক্ষমতায় কংগ্রেস। কিন্তু সেই পুরস্কারপ্রাপ্তির দীর্ঘ ১৪ বছর কেটে গেলেও পরবর্তীতে আর কোনো জাতীয় পুরস্কার পাননি এ গায়ক। সম্প্রতি ভারতের ৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা গায়কের পুরস্কার না পেয়ে মুখ খুলেছেন ‘কিং অব মেলোডি’ খ্যাত বাঙালি এই সংগীতশিল্পী।
সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি ৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা গায়ক-গায়িকার শিরোপা পেয়েছেন দক্ষিণের কালা ভৈরব এবং বলিউডের বঙ্গকন্যা শ্রেয়া ঘোষাল। তা নিয়ে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।
কুমার শানু বলেন, ‘হয়তো আমার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। আমার পদ্মভূষণও পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমি আর এগুলো নিয়ে ভাবি না। খারাপ তো লাগেই, কষ্ট হয়। তবে আমি এটাও বুঝি যে, তৈলমর্দনের ক্ষমতা না থাকলে এসব সম্মান পাওয়া যায় না।’
পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত এই শিল্পী আরও বলেন,“তেল না দিতে পারলে আপনি পুরস্কার পাবেন না। আপনার যদি তোষামোদ করার গুণ না থাকে, তাহলে আপনি এটা পাবেন না। আমি এখন বুঝি, এমনকি মানুষও বোঝে। কেউ তখনই পুরস্কার পায়, যখন তার নাগাল উচ্চমহল পর্যন্ত যায়। স্বাভাবিকভাবে এই পুরস্কার পাওয়া বেশ কঠিন।”
কিছুটা আক্ষেপের সুরেই কিংবদন্তি এই গায়ক বলেন, “আমি কখনো এসবে মনোযোগ দিইনি। কে কী করছে, তাতে আমার যায় আসে না। সরকার যখন মনে করবে আমাকে পুরস্কার দেওয়া দরকার, তখন দেবে। তারা যদি না দেয়, আমার কী করার আছে?”
বলিউডের এই সংগীত তারকা ১৯৯৩ সালে একদিনে ২৮টি গান রেকর্ড করে গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছিলেন। এর তিন বছর আগে ১৯৯০ সালে ‘আশিকি’র গান গেয়ে ভারতজুড়ে তোলপাড় করেছিলেন তিনি।