• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামবে আজ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৪, ১১:২৪ এএম
মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামবে আজ
কানের লালগালিচায় সেলেনা গোমেজ, এডগার রামিরেজ এবং জো সালডানা। ছবি: সংগৃহীত

ফান্সে জমজমাট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামবে শনিবার (২৫মে)। ১৪ মে শুরু হওয়ার ১২তম দিনে শেষ হচ্ছে উৎসবটি। মূল প্রতিযোগিতা বাদে উৎসবের অন্য বিভাগগুলো এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে প্রতিযোগিতা বিভাগের পুরস্কারের চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ।

সমাপনী দিনে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের ২২টি ছবি পুনরায় প্রদর্শিত হবে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিট) শুরু হবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। প্রধান বিচারক গ্রেটা গারউইগ ঘোষণা করবেন স্বর্ণপামজয়ী ছবিসহ পুরস্কার বিজয়ীদের নাম। উদ্বোধনী আয়োজনের মতো সমাপনী আয়োজনও সঞ্চালনা করবেন ফরাসি অভিনেত্রী কামিল কতিঁ।

২২টি ছবি লড়ছে মূল প্রতিযোগিতায়। মধ্যরাতে ঘোষিত হবে উৎসবে পুরস্কারজয়ী ছবি, পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী ও চিত্রনাট্যকারের নাম। কার হাতে উঠবে সবচেয়ে বড় পুরস্কার স্বর্ণপাম, এ নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। ভ্যারাইটি, হলিউড রিপোর্টারসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম প্রকাশ করেছে তাদের পূর্বানুমান।

তাতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শন বেকারের কমেডি ‘আনোরা’, কোরালি ফারগেটের বডি হরর ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ এবং জ্যঁ অদিয়াঁরের মিউজিক্যাল ক্রাইম কমেডি ‘এমিলিয়া পেরেজ’ এগিয়ে। কেউ হয়তো ‘এমিলিয়া পেরেজ’কে এগিয়ে রাখছেন তো কেউ ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ বা ‘আনোরা’।

সেরা পরিচালকের দৌড়ে এগিয়ে কোরালি ফারগেট। সেরা অভিনেতার জেরেমি স্ট্রং (দি অ্যাপ্রেন্টিস) এবং সেরা অভিনেত্রীর দৌড়ে তিনজন—মাইকি ম্যাডিসন (আনোরা), কারলা সোফিয়া (এমিলিয়া পেরেজ) ও ডেমি মুর (দ্য সাবস্ট্যান্স)।

প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি বানিয়েই প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে স্বর্ণপামের জন্য মনোনীত হলেন পায়েল। গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) কানে প্রদর্শিত হয়েছে ছবিটি। প্রদর্শনীতে পরিচালকসহ হাজির হয়েছিলেন তিন অভিনেত্রী কানি কুশ্রুতি, দিব্যা প্রভা ও ছায়া কদম এবং অভিনেতা ঋধু হারুন। 

কানের ইতিহাসে আটটি ভারতীয় ছবি লড়েছিল মূল প্রতিযোগিতায়। এর মধ্যে আছে বাঙালি দুই পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘পরশ পাথর’ (১৯৫৮) এবং মৃণাল সেনের ‘খারিজ’ (১৯৮৩)। তবে ইতিহাসে একবারই স্বর্ণপাম জেতে ভারত। তাও ৭৮ বছর আগে—চেতন আনন্দের ‘নীচা নগর’। 

পায়েল কাপাডিয়া কি পারবেন ৭৮ বছরের খরা কাটাতে? বড় বড় গণমাধ্যমের পূর্বানুমানকে দূরে ঠেলে বিজয়ী হতে? বলা যায় না, প্রধান বিচারকসহ ৯ জনের প্যানেলের পাঁচজনই নারী। সে ক্ষেত্রে পায়েলের হাতে স্বর্ণপাম উঠলে অবাক হবেন না অনেকেই।

Link copied!