দেশের আলোচিত নায়ক জায়েদ খান। আটমাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ ও একাধিক স্টেজ শো-তে পারফর্ম করতে জুলাইয়ে দেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগেই তিনি মার্কিন মুল্লুকে যান। এরপর সেখানেই রয়ে গেছেন। এই নায়ক জানান, দীর্ঘ কয়েক মাস আরাম আয়েশে থাকতে থাকতে তার ওজন বেড়েছে। ওজন কমাতে নিয়মিত জিমে যাচ্ছেন জায়েদ। গত দুই সপ্তাহ থেকে শরীর কমানোর মিশনে নেমেছেন উল্লেখ করে জায়েদ বলেন, সামনে কিছু শো রয়েছে। এজন্য ওজন কমাচ্ছি। খাওয়া দাওয়া মেইনটেইন করছি। এখানে প্রচণ্ড শীত। এজন্য ঠিকমত ঘর থেকে বের হতে পারি না। তাছাড়া একটু আরাম আয়েশে থাকতে গিয়ে ওজন বেড়েছে।
“কিছুদিন রসালো খাবার বেশি খাওয়া হয়েছে। ঘুমাই বেশি। এখানে তো কায়িক পরিশ্রম একদমই করা হয় না। বাংলাদেশে থাকলে দিনরাত ছোটাছুটির মধ্যে থাকতে হতো। এখানে ঠিক তার উল্টো। দুই সপ্তাহ ধরে একেবারে রুটিন মাফিক জিম করছি। আমি যেখানে জিম করি এটা লসএঞ্জেলস ভিত্তিক, হলিউডের শিল্পীরাও জিম করে। আরেকটা শাখায় ম্যানহাটনে যারা রেসলিং (ডাব্লিউডাব্লিউই) করে তারা জিম করে।”
জায়েদ বলেন, কে আপন কে পর চেনা গেল। সত্যিকারের শুভাকাঙ্ক্ষী কে সেটাও বোঝা গেল। দেশ থেকে কারা ভালোবেসে আমাকে খোঁজ নেয় সেটাও বুঝলাম। শিল্পী সমিতির সেক্রেটারি থাকায় কত শিল্পীর উপকার করছি, লাশ কাঁধে নিয়েছি, করোনার মৃত্যু ঝুঁকি জেনেও ঘরে বসে থাকিনি; আসলে এত দৌড়াদৌড়ি করেছি আপন পর চিনিনি। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি।
এই নায়ক বলেন, বাংলাদেশ থেকে শিল্পীরা এলে নিজে গিয়ে ওদের সঙ্গে দেখা করি। এখানে সেখানে ঘুরিয়ে দেখাই। শিল্পী হিসেবে ভালোবেসে করি। কিন্তু দেশে শিল্পীদের বিশেষ করে অভিনেত্রীদের কোথাও শো-রুম ওপেনিংয়ে গেলে বাধা দেয়া হচ্ছে, এটা দুঃখজনক। সিনেমা কমে যাওয়ায় তারা এসব কর্ম করে চলছে। তারা তো কোনো অন্যায় বা ক্রাইম করছে না। সমস্ত শিল্পীদের কাজের জায়গাটা স্মুথ করে দেয়া উচিত। কোটি মানুষের মধ্যে সবাই শিল্পী হয় অল্প কিছু মানুষ। তাই দেশে বর্তমানে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের বলবো আপনারা শিল্পীদের প্রতি সদয় হোন।
পরিবার ছেড়ে এতদিন কখনই বিদেশে থাকেননি জায়েদ। এতে করে দেশের জন্য প্রায়ই মন কাঁদে তার! জায়েদ বলেন, আসলে দেশের পরিস্থিতি কেমন সবাই জানে। সিনেমাও কমে গেছে। আমেরিকাতে টেলিকম কোম্পানি ‘রিভারটেল’-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। তাদের বিভিন্ন কাজে আগামীতে অংশ নেব। দেশে আসলে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে না পারায় কষ্ট সবচেয়ে বেশি পীড়া দেয়। এছাড়া আর কোনো পিছুটান কাজ করে না। এখানে বিয়ে করে সংসার করবো এমন চিন্তাভাবনা মাথায় আসেনি। আল্লাহ যেদিন হুকুম করবেন সেদিন হবে বলে বিশ্বাস করি।