৩০ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। মুক্তির পর হয়েছিল সেই বছরের অন্যতম ব্লকবাস্টার সিনেমা। এ সিনেমা দিয়েই শাহরুখ খান, কাজল ও শিল্পা শেঠির ক্যারিয়ার শক্ত ভিত পায়। হিন্দি সিনেমার খোঁজখবর রাখা দর্শকেরা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আব্বাস-মাস্তান পরিচালিত ‘বাজিগর’ সিনেমার কথা।
১৯৯৩ সালের ১২ নভেম্বর মুক্তি পায় রোমান্টিক থ্রিলার সিনেমাটি।
‘বাজিগর’ মুক্তির আগে পরিচালক জুটি আব্বাস-মাস্তানের সময়টা ভালো যাচ্ছিল না, তবে এই সিনেমা আগের ফ্লপের ধাক্কা পুষিয়ে দেয়। সিনেমাটি তৈরি হয় হলিউড সিনেমা ‘আ কিস বিফোর ডায়িং’-এর প্রেরণায়।
সিনেমাটিতে অজয় শর্মা ওরফে ভিকি মালহোত্রার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয় অক্ষয় কুমারকে। তবে নেতিবাচক চরিত্র বলে তিনি ফিরিয়ে দেন। পরে অজয় দেবগন, সালমান খান, আরবাজ খানসহ অনেককেই প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সবাই একই কারণে না করে দেন।
নায়িকা চরিত্রে পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন শ্রীদেবী। তাদের ভাবনা ছিল শ্রীদেবীকে দিয়ে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করাবেন। কিন্তু পরে মত বদলে নেওয়া হয় দুই নায়িকা কাজল ও শিল্পা শেঠিকে। শাহরুখ খান, কাজল ও শিল্পা—তিনজনই সেই সময়ে ছিলেন নতুন। তুলনামূলক কম পরিচিত মুখ নিয়ে সিনেমা তৈরিতে একটা ঝুঁকি ছিল। মুক্তির পর ‘বাজিগর’ ব্লকবাস্টার হিট হয়। চার কোটি রুপি বাজেটের সিনেমাটি ব্যবসা করে ৩২ কোটি রুপির বেশি। এরপর আর শাহরুখ, কাজল বা শিল্পাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
‘বাজিগর’ দিয়েই প্রথমবারের মতো সেরা অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান শাহরুখ। দ্বৈত চরিত্রে তার অভিনয়ের প্রশংসা করেন সমালোচকেরা।
সিনেমার মতো ‘বাজিগর’-এর গানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বিশেষ করে ‘বাজিগর ও বাজিগর’, ‘ইয়ে কালি কালি আখি’ সেই সময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। সিনেমার সংগীত পরিচালকও ফিল্মফেয়ারে পুরস্কার জেতেন।