ঢাকাই সিনেমার সফল অভিনেত্রী শাবনূর। লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের মধ্যে কেটেছে যার জীবনের বেশির ভাগ সময়। এই অভিনেত্রী অনেকদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে সরে থাকলেও দর্শকরা তাকে ভোলেননি। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ছিল তার জন্মদিন। এদিন ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যা দেখে বেশ আবেগাপ্লুত এই অভিনেত্রী। এরপরেই হঠাৎ করেই মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা দিলেন তিনি।
এক ফেসবুক পোস্টে শাবনূর লিখেন, গতকাল ছিল আমার জন্মদিন। দিনভর ফোন কল, সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমার প্রতি বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অসংখ্য শুভেচ্ছা বার্তা এবং ভক্তদের ভালোবাসার উচ্ছ্বাস দেখে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত, সিক্ত ও অভিভূত হয়েছি। বিশেষ এ দিনে আমার পাশে থাকার জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাকে আপনাদের প্রার্থনায় রাখুন।
প্রয়াত কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ (১৯৯৩) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক সাব্বিরের বিপরীতে বড় পর্দায় অভিষেক হয় শাবনূরের। প্রথম চলচ্চিত্র ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হলেও পরে সালমান শাহর সঙ্গে প্রায় প্রতিটি সিনেমাই দারুণ ব্যবসায়িক সফলতা নিয়ে আসে। জনপ্রিয় সালমান শাহ-শাবনূর জুটির ১৪টি চলচ্চিত্র ব্যবসায়িক সফলতা লাভ করে।
ক্যারিয়ারে সালমান শাহ ছাড়াও রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস, মান্না ও শাকিব খানের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে একাধিক ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন শাবনূর। ২০০৫ সালে ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এছাড়াও কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাচসাস পুরস্কার এবং দশবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন এ অভিনেত্রী।
দীর্ঘদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাস শাবনূরের। সেখানে ছেলে আইজান, মা, ভাই, বোনসহ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যে দেশে এলে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যোগ দেন এ অভিনেত্রী। সবশেষ শাবনূরকে ২০১৫ সালে ‘পাগল মানুষ’ সিনেমায় দেখা গেছে। এরপর আর কোনো সিনেমায় পাওয়া যায়নি দর্শকপ্রিয় এ তারকাকে।