গত বছরের হিন্দি সিনেমার গল্প লিখতে গেলে শুরুটা শাহরুখ খানকে দিয়েই করতে হবে। বছরের শুরুতে ‘পাঠান’ দিয়ে তিনি যে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিলেন, তা অব্যাহত ছিল বছরের শেষ পর্যন্ত। সিদ্ধার্থ আনন্দের সিনেমাটি দিয়ে চার বছর পর রাজকীয় প্রত্যাবর্তন হয় অভিনেতার। এরপর ‘জওয়ান’, আর শেষ বেলায় ‘ডানকি’র মতো হিট ছবি তাঁর ঝুলিতে। এক বছরে তিন হিট দিয়ে শাহরুখ বুঝিয়ে দিলেন বলিউডের ‘কিং খান’ এখনো মাঠ ছাড়েননি। ‘পাঠান’ ও ‘জওয়ান’–এ শাহরুখকে দেখা গেছে পুরোদস্তুর অ্যাকশন হিরোর চেহারায়। রোমান্টিক তকমা ছেড়ে তাঁর নতুন রূপ লুফে নিয়েছেন দর্শকেরা।
সম্প্রতি ‘জাওয়ান’-এ অভিনয়ের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন শাহরুখ। কিন্তু পুরস্কার হাতে নিয়েও হতাশা ঝরে পড়ল ‘কিং খান’-এর গলায়। বহু বছর অপেক্ষার পর নাকি পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠার সুযোগ পেলেন তিনি।
বলিউডে দেখতে দেখতে কয়েক দশক হয়ে গেল শাহরুখের। টেলিভিশন থেকেই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন শাহরুখ। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম সিনেমা ‘দিওয়ানা’। তারপর একে একে ‘বাজিগার’, ‘ডার’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘দিল তো পাগাল হ্যায়’ দিয়ে দর্শকের মনে পাকাপোক্ত জায়গা করে নেন শাহরুখ।
বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়েছেন, দর্শকের ভালোবাসা, প্রশংসা তার অভিনয় জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার। মানুষের ভালোবাসা তাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে এসেছে। তবে স্বীকৃতি পেতে ভালো লাগে সকলেরই। পুরস্কার যে শাহরুখ পাননি, তা নয়। কিন্তু তা সবই প্রথম দিকে। বহু বছর হয়ে গেল সেরা অভিনেতার কোনো পুরস্কার পাননি তিনি।
আর সে কারণেই হয়তো ‘জাওয়ান’-এর জন্য পুরস্কার পেয়ে খানিক আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন শাহরুখ। আবেগ জড়ানো গলায় শাহরুখ বলেন, বহু দিন হয়ে গেল সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাইনি। একটা সময় মনে হয়েছিল বোধহয় আর কোনো দিন পাব না। তবে ‘জাওয়ান’-এর হাত ধরে আবার পুরস্কার গ্রহণ করলাম। অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। কথায় প্রকাশ করে বোঝাতে পারব না।