জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী শাফিন আহমেদের মৃত্যু হয় (২৫ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায়। একটি স্টেজ শোতে গান গাওয়ার কথা ছিল শাফিন আহমেদের। কিন্তু অনুষ্ঠানের দিন হঠাৎ তিনি অসুস্থ হওয়ায় পরিকল্পনা পাল্টাতে হয় আয়োজকদের। সেদিন একই মঞ্চে গান গাওয়ার কথা ছিল দেশের আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরীর। তার গান শুরুর আগে মঞ্চে থাকা এলইডি পর্দায় হাজির হন শাফিন আহমেদ।
হাসপাতালের বিছানা থেকে তিনি একটি ভিডিও বার্তায় অনুষ্ঠানে না থাকতে পারার কথা জানান।
ভিডিও বার্তায় শাফিন আহমেদ বলেন, ‘আজকে কনসার্টে আপনাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা ছিল। তবে শারীরিক কিছু লক্ষণের জন্য আমি একটু মেডিক্যাল চেকআপ করতে আসি। মেডিক্যাল চেকআপ করতে এসে হাসপাতালের চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী সময় লাগছে।
তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চেকআপ করতে হচ্ছে। আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি আছি। আপনাদের সঙ্গে হয়তো আজকে আর দেখা হচ্ছে না। দুঃখিত আমার সব শ্রোতা এবং ভক্তদের কাছে, একই সঙ্গে আয়োজকদের কাছেও।
আগামীতে নিশ্চয় আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। আমি আশা করব, আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। ধন্যবাদ।’ এটাই ছিল শাফিনের সর্বশেষ ভিডিও বার্তায় কথা।
এর পর সেদিন রাতে শাফিন আহমেদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। গভীর রাতে গুরুতর হার্ট অ্যাটাক হয়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ভার্জিনিয়ার সেই হাসপাতালের চিকিৎসক, এমনটাই জানিয়েছেন বড় ভাই দেশের আরেক জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা হামিন আহমেদ।
শাফিন আহমেদের গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও হারানো প্রেম’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি। তিনি তার বাবা কমল দাশগুপ্তর কিছু গান নিয়েও একক অ্যালবাম করেছিলেন। মাঝখানে কিছুদিন রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হয়েও আলোচনা সৃষ্টি করেছিলেন।