একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। বয়সের ভারে ঘর থেকেও বের হতে পারতেন না বাইরে গেলেও হুইল চেয়ারই ভরসা। সেজন্য তার বেশিরভাগ সময় কাটত ঘরে বসেই। সেই বরেণ্য অভিনেতা আর নেই। বৃহম্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তিনি মারা গেছেন।
মাসুদ আলী খান গত বছর সর্বশেষ গ্রহন করেছিলেন খালেদ খান সম্মাননা। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের আয়োজনে আলী যাকের নতুনের উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে সম্মাননা গ্রহন করেছিলেন। সেদিন পুরনো দিনের অনেক প্রবীণ অভিনেতার সঙ্গেও দেখা হয়েছে তার। এত দিনের চেনাজানা লোকজনের দেখা পেয়ে আপ্লুত হয়ে যান তিনি। চোখ ভিজে যায় তাঁর। ভেঙে পড়েন কান্নায়।
সে সময় মাসুদ আলী খান বলেন, `ভাবতেই পারিনি এত এত আপন মানুষের সঙ্গে দেখা হবে। সহশিল্পীদের পেয়ে কেঁদে দিয়েছিলাম। চোখের পানি আটকাতে পারিনি।`
তিনি আরও বলেন, `জীবনের বেশিরভাগ সময় অভিনয় করে কেটেছে। এখন অভিনয় করতে পারি না। দু:খ হয়, খারাপ লাগে। অভিনয় করতে না পারলেও অভিনয়টা দেখতে পারি টেলিভিশনে। সৃষ্টিকর্তার কাছে বলি, অভিনয় না করতে পারলেও অভিনয় দেখাটা কেড়ে নিও না।`
১৯৫৬ সালে এ দেশের প্রথম নাটকের দল ড্রামা সার্কেলের সঙ্গে যুক্ত হন মাসুদ আলী খান। সেই থেকে অভিনয়ে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ৫ দশকেরও বেশি সময় টানা অভিনয় করেছেন তিনি।
তার অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে দুই দুয়ারি, দীপু নাম্বার টু, মাটির ময়না। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে কূল নাই কিনার নাই, এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই।