বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের যাত্রা উৎসবের পর্দা নামছে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর)।
জুলাই বিপ্লব উত্তর সময়ের বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম স্থবিরতা কাটিয়ে প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরিয়ে আনতে এই যাত্রপালার আয়োজন করা হয়। ১ নভেম্বর শুরু হয় ৭ দিনব্যাপী একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ‘যাত্রা উৎসব ২০২৪’। যাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
প্রতিদিনই নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সমাগম ঘটছে মুক্তমঞ্চে। বুধবার (৬ নভেম্বর) ছিলো উৎসবের ৬ষ্ঠ দিন। এদিন সন্ধ্যা ৬ টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে পরিবেশিত হয়েছে যাত্রাপালা ‘ফুলন দেবী’। যাত্রাদল শারমিন অপেরা’র পালায় নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ রফিকুল এবং পালাকার ছিলেন পুর্নেন্দু রায়।
যাত্রাপালার কাহিনীতে দেখা যায়, দস্যু ফুলন, গ্রামের সরল মেয়ে। দুই বোন এবং পিতা, তিনজনের সংসার। পিতা হতদরিদ্র, ভালো ঘরে বিয়ে দেওয়ার মত অর্থ সম্বল কিছুই নেই। নিরুপায় হয়ে মধ্য বয়স্ক পুতিলাল নামক এক লোকের সাথে বিয়ে দেয়। কিন্তু স্বামী মদ্যপ, জুয়ারী, চরিত্রহীন হওয়াতে সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হন। ফুলন চলে আসে বাবার বাড়িতে। গ্রামে এসে সমাজের প্রভাবশালীদের লালসার শিকার হন। অসহায় হয়ে থানার ওসি সাহেবের কাছে আসলে বিতারিত হয়ে ফিরে যান। যখনই ফুলন প্রতিবাদী হয়ে উঠে আর তখনই সমাজের প্রভাবশালী বিচারপতিরা তাকে তাঁর পিতাসহ গ্রাম ছাড়া করেন। বাধ্য হয়ে প্রতিশোধের নেশায় ডাকাত দলে যোগ দিয়ে সে হয়ে উঠে দস্যু রাণী ফুলন।
যাত্রাপালা ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’র মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পর্দা নামবে ‘যাত্রা উৎসব ২০২৪’ এর। পালাটির যাত্রা দলের নাম- যাত্রাবন্ধু অপেরা, পালাকার-শ্রী শচীননাথ সেন, পালা নির্দেশক- আবুল হাশেম।
এই যাত্রাপালা উৎসবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিবন্ধিত ০৭টি যাত্রা দল প্রতিদিন ১টি করে ‘ঐতিহাসিক ও সামাজিক’ ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত যাত্রাপালা পরিবেশন করে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬.০০টা থেকে রাত ৯.০০টা পর্যন্ত পালা পরিবেশিত হয়।