বন্ধুদের সঙ্গে সমাবর্তন নিয়ে করছিলেন নানা পরিকল্পনা। ভেস্তে গেল সব। ফেব্রুয়ারিতে যোগ দিয়েছিলেন চাকরিতে। পড়ালেখা করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে। ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়টির কনভোকেশন। কিন্তু তাতে অংশ নেওয়া হলো না তার। রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।
তুষার হাওলাদার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায়। গতকাল রাত ১১টা থেকে খোঁজ মিলছিল না তার। শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে লাশ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। চাকরি ও পড়াশোনার পাশাপাশি দুই বছরের বেশি সময় ধরে চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছিলেন তুষার হাওলাদার। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন এই চিত্রগ্রাহক। সম্প্রতি তিনি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করছিলেন।
তুষার হাওলাদারের সহকর্মী গোলাম রাব্বানী গণমাধ্যমকে জানান, তুষার হাওলাদার আমার সাথে একই প্রতিষ্ঠানে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতো। তার বিষয়টি ঢাকা মেডিকেলের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। এবং তার পরিবার লাশটি গ্রহণ করেছে। তুষার হাওলাদারের এমন মৃত্যুসংবাদে শোকপ্রকাশ করেন ডজনখানেক তথ্যচিত্রের পরিচালক নিলয় লরেন্স। গণমাধ্যমকে নিলয় জানান, ‘তুষার খুবই পরিশ্রমী এবং বিনয়ী ছিল। ২০২২ সালে ওর সঙ্গে আমার পরিচয়। শুনেছি তারও এক বছর আগে থেকে তথ্যচিত্র নির্মাণের সঙ্গে জড়িত ছিল। এরপর আমরা একসঙ্গে দলিত সম্প্রদায় নিয়ে একটি তথ্যচিত্রে প্রথম কাজ করি। “টোয়েন্টি ফাইভ ইয়ারস জার্নি অব দলিত” নামের এই তথ্যচিত্রের পর আমরা আরও ডজনখানেক তথ্যচিত্রে কাজ করি।’
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তুষার হাওলাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময়ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করছিলেন।