বুধবার গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরায় বাড়িতে ডাকাত পড়েছিল। সেই তথ্য দিতে রাতে ২ মিনিট ২০ সেকেন্ড লাইভে ছিলেন আলোচিত অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। লাইভে এসেই প্রথমে চমক বলেন, ‘ক্যাপশন দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কী বলব? আমি লিখেছি ‘আর কত নিচে নামবেন আপনারা ? আমি আমার লাইভে বলেছি, উত্তরা বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি হচ্ছে! সেনাবাহিনী এসেছে এবং ডাকাতরা ধরাও পড়েছে। আমরা সেইফ।‘
যদিও সেনাবাহিনী আসার আগেই আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে দা, বঁটি নিয়ে ডাকাতদের রুখে দিয়েছি। আমরা সেনাবাহিনীর হট লাইনের নাম্বার পাচ্ছিলাম না। সম্ভবত লাইভ করার ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মাথায় সেনাবাহিনী এসেছে। উই আর সেইফ নাও।
‘কিন্তু লাইভের কমেন্টে আপনারা কি কমেন্ট করলেন, যে স্বাধীনতা এজনয় করো, স্বাধীনতার ফল এটা।’
‘আপনাদের একটা ইনফরমেশন দেই, “যেসব ডাকাতরা ধরা পড়েছে, তারা স্বীকারক্তি দিয়েছে যে, তাদেরকে আওয়ামী লীগের পাতি নেতারা ভাড়া করেছে ডাকাতি করার জন্য, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য।”
যারা যারা নির্লজ্জের মতো এখানে এসে কমেন্ট করতেছেন যে, আপনাদের নেত্রী ভেগে গেসে, তাই দেশে অরাজকতা তৈরি হচ্ছে। ছাত্ররা আন্দোলন করসে, ছাত্ররা এখন কোথায়, স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে ডাকাতি করবে। এতো নিচে নামেন কিভাবে আপনারা?
‘আপনারাই অরাজকতা তৈরি করতেছেন, আপনারাই হাসাহাসি করতেসেন, এগুলা কী? এটা তো আমাদের দেশ। ভাই, এতগুলো মানুষের জীবন নিয়ে কেন খেলতেছেন আপনারা? আপনাদের লজ্জা করেন না?
প্রত্যেকেই আমাদের দেশের মানুষ। এগুলা সব আমাদের দেশের সম্পদ। আপনারা জাস্ট এগুলা নষ্ট করতেছেনন দল বিভেদ করার জন্য? দলীয় কোন্দল করা জন্য?’
‘আজকে পুরো এলাকার প্রত্যেকটা মানুষ রাস্তায়। কেউই ঘুমাতে পারতেছে না। আমরা আগে থেকেই টহল দিচ্ছিলাম পুরো উত্তরাতে।
আপনারা যার হাসাহাসি করতেছেন, স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেছেন। তাদেরকে বলি ‘১৯৭১ সালে যুদ্ধের পরেও দেশের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। প্রশাসন এ্যাক্টিভ হতে, সবকিছু ঠিকঠাকভাবে কন্ট্রোলে আনতে একটু সময় লাগে।‘
এই ধরনের কথা না বলে, দেশে অরাজকতা তৈরি না করে, মানুষের জন্য থ্রেট না হয়ে, সবার একসাথে দেশের জন্য কাজ করেন। প্লিজ। অনেক হইসে। থামেন এবার।