কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর ভেঙ্গে পড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। অন্তবর্তীকালীন সরকার আসার পর দেশের সবখানে নিরাপত্তা জোরদার করে। বিশেষ করে দেশের স্পর্শকাতর এলাকা বিমানবন্দরে নিরাপত্তা চোখে পড়ার মতো।
কারণ রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন বিদেশে। আটকও হয়েছেন অনেকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিমানবন্দরে।
চলতি সপ্তাহে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন নায়িকা মাহি। সেখানে এই তাকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে বিশেষভাবে চেক করা হয় নথিপত্র। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে তার নাম আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন মাহিয়া মাহি।
ওই ভিডিওতে মাহি বলেন, ‘এক থেকে দেড় ঘণ্টা হবে, আমি জাস্ট বসেছিলাম। কারণ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে চাইছিল আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কি না। ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ভালোভাবে চেক করার পরই ফ্লাই করতে পেরেছি।’
পুরো বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তিনি মনে করেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মন্দ কিছু নয়। মাহি বলেন, “আমার মনে হলো এয়ারপোর্টে যদি সব সময় এ রকম ব্যবস্থা থাকে তাহলে অনেক ভালো।”
বর্তমানে মাহিয়া মাহি ঢাকায় রয়েছে। বিশেষ কাজে এক দিনের জন্য দেশের বাইরে গিয়েছিলেন তিনি।
অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরেও রাজনীতিতে বেশ সরব ছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আওয়ামী লীগের হয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু দলের সমর্থন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ে হেরেছেন তিনি। এতেও দমে জাননি তিনি। আওয়ামী লীগের নানা আয়োজনে তার উপস্থিতি দেখা গেছে।