দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, বিটিএস ব্যান্ডের সব সদস্যের দেশের অন্য নাগরিকদের মতোই বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে। জিনের পর সরকার নির্ধারিত কাজে যোগদানের পালা সুগার।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ান জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘বিটিএস’-এর অন্যতম সদস্য জিন। সাধের ঢেউ খেলানো চুল একেবারে ছোট করে ছেঁটে মিলিটারি ক্যাম্পের দিকে পা বাড়িয়েছেন তিনি। ওই দেশের আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে বাধ্য তিনি।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যান্ড ‘বিটিএস’-এর অন্য সদস্যদেরও একে একে সেনাছাউনির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ, উত্তর কোরিয়া সেই দেশের সরকারের কাছে বড় ভয়ের জায়গা। যাতে প্রতিবেশীদের প্রতিহত করা যায়, সেই কারণেই দেশের প্রত্যেক সদস্যকে ১৮ থেকে ২১ মাস সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়। ৩০ বছর বয়সী জিন ব্যান্ডের সবচেয়ে বড় সদস্য। তাই তাকে সবার আগে সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে হয়েছে। হিসাব বলছে, এরপর পালা সুগার। যদিও ২৫ বছরের এই ব়্যাপার মিলিটারিতে যোগ দিতে পারবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০১৫ সালে কাঁধে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন কোটি কোটি তরুণীর ক্রাশ সুগা। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে একপ্রকার বাধ্য হয়েই সার্জারি করাতে হয় তাকে। তবু সুগার কাঁধের সমস্যা রয়েই গিয়েছে। মাঝেমধ্যেই প্রবল ব্যথায় কঁকিয়ে ওঠেন তিনি। মাঝে বিটিএস ব্যান্ডের সঙ্গে পারফর্ম করতে পারছিলেন না এই কারণে। সেই সময় সুগা বলেছিলেন, “সহনীয় যন্ত্রণা হলেও হয়তো এতটা ভেঙে পড়তাম না। কিন্তু আমি কাঁধ তুলতে পারি না যন্ত্রণায়। এটা বড্ড কষ্টের বিষয়।”
এমন গুরুতর চোট নিয়ে সুগা আদৌ মিলিটারিতে যোগ দেওয়ার জন্য ফিট কি না, সেই প্রশ্ন উঠছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সুগা হয়তো ১৮ মাসের জন্য জনসেবামূলক কাজ করবেন। তবে ঠিক কোন বিভাগে সুগাকে নিয়োগ করবে সেই দেশের সরকার, তা জানা যায়নি।
সূত্র : বিবিসি