বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে মুখ খুললেন তার মা মেহের নিগার চঞ্চল।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি ছেলের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ছেলের হয়ে দেশবাসীর কাছে প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে তিন বলেন, ‘২০১২ সালে ঢাকা স্টেডিয়ামে একটি গানের অনুষ্ঠান থেকে তাপসকে তুলে নেয়া হয়। সেই তখন থেকে শেখ হাসিনা সরকার আমাকে একা করে দিয়েছে। ওই সময় তাকে তুলে নেয়ার একবছর পর যেখানে পেয়েছি, তা আর বলতে চাই না।
মেহের নিগার চঞ্চল বলেন, অপরাজনীতির জন্য ১৯৭৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে নেই আমি। এছাড়া হত্যা মামলার ব্যাপারে তাপসের মা বলেন, এই সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে তাপস জড়িত না। আর যতটুকু শেখ হাসিনার সঙ্গে জড়িত, আমি বলব সে যদি বিপদগামী হয়েই থাকে তার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর রাজধানীর প্রগতি সরনি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাপসকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তাকে।
পরদিন ৪ নভেম্বর দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাপসকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায় তদন্তকারী কর্মকর্তা। কিন্তু শুনানির সময় তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় শুনানির তারিখ পেছানোর আবেদন করে পুলিশ। পরে তাপসের রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য বুধবার (৬ নভেম্বর) ধার্য করেন আদালত।
ইশতিয়াক মাহমুদ নামে একজন ব্যবসায়ী হত্যাচেষ্টার একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে থেকে গান বাজনার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ক্যাডারদের উৎসাহ ও ছাত্র জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করে গান বাংলার তাপস।
গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলন চলাকালে আসামিদের ছোড়া গুলিতে বাদীর পেটে গুলি লাগে। গুরুতর আহত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে থেকে অপারেশনের মাধ্যমে তার পেটের গুলি বের করা হয়।
এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় তাপস এজাহারভুক্ত ৯ নম্বর আসামি।