নিজের প্রেমিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে হিন্দি সিরিয়ালের অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার বয়ফ্রেন্ড শীজান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৬৯ দিন আগে। তুনিশা শর্মার সেই অভিযুক্ত প্রেমিক অবশেষে জামিন পেলেন।
২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর ‘আলিবাবা : দাস্তান এ কাবুল’ সিরিয়ালের মেকআপ রুমে তুনিশা আত্মহত্যা করেন। তারপরেই তুনিশা শর্মার মা তুনিশার প্রেমিক শীজান খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন। মূলত তুনিশা শর্মা এবং আর এক আত্মীয়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই মুম্বাই পুলিশ শীজান খানকে গ্রেপ্তার করে। ঊনসত্তর দিন পর শীজান খানকে ১ আখ টাকা গচ্ছিত রাখা ও তার পাসপোর্ট থানায় জমা রাখার শর্তে এই জামিন দেওয়া হয়।

জেল থেকে বেরোনোর পর মুম্বাইয়ে শীজান খানকে তার প্রেমিকা তুনিশা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার পর শীজান বলেন, “আমি তুনিশাকে ভীষণভাবে মিস করছি। আজ যদি তুনিশা বেঁচে থাকত তাহলে নিশ্চয়ই আমার হয়ে লড়াই করত।”
প্রায় ৭০ দিন জেলে থাকার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শীজান জানান, “আজ আমি প্রকৃত স্বাধীনতার অর্থ অনুভব করতে পারছি। এতদিন পর জেল থেকে বেরিয়ে নিজের মা এবং বোনকে কাছে পেয়ে আমি কেঁদে ফেলেছি। অবশেষে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে আবার থাকতে পারব। এটা ভেবে এই মুহূর্তে খুব ভালো লাগছে। ইচ্ছা করছে এখন বেশ কয়েকদিন মার কোলে মাথা রেখে শুতে। মার হাতের তৈরি খাবার খেতে এবং ভাই বোনেদের সঙ্গে সময় কাটাতে।”
২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর তুনিশা শর্মার আত্মহত্যার পরদিনই শীজান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।